সাধারণ গরীব অসহায় রোগীদের জন্য আর্থিক অনুদান ৫০ হাজার টাকা সরাসরি সমাজসেবা অধিদপ্তরে আবেদন এর মাধ্যমে আপনি নিতে পারেন ২০২২

 


সাধারণ গরীব অসহায় রোগীদের জন্য আর্থিক সহায়তা/ আর্থিক অনুদান ৫০ হাজার টাকা সরাসরি সমাজসেবা অধিদপ্তরে আবেদন এর মাধ্যমে আপনি নিতে পারেন ২০২২

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

 সমাজসেবা অধিদপ্তর

 ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্টক প্যারালাইসিস, জন্মগত হৃদরোগ, এবং থ্যালাসেমিয়া  রোগে আক্রান্ত হচ্ছে,  অর্থাৎ অর্থের অভাবে এসব রোগের আক্রান্ত রোগীরা যেমনি ধুকে ধুকে মারা যায়, তেমনি তার পরিবার চিকিৎসার ব্যয় বহন করে নিঃস্ব হয়ে পড়ে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সকল অসহায় ক্যান্সার, কিডনি এবং লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত রোগীদের কে এককালীন 50,000/- টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করার লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।


 লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য 


সাধারণ গরীব অসহায় রোগীদের জন্য আর্থিক অনুদান ৫০ হাজার টাকা সরাসরি সমাজসেবা অধিদপ্তরে আবেদন এর মাধ্যমে আপনি নিতে পারেন কোন ঝামেলা বিহীন শুধুমাত্র একটি আবেদনের মাধ্যমে আপনি যদি সত্যিই অসহায় দুস্থ গরিব অথবা ভূমিহীন বিধবা অথবা বয়স্ক/ দুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে আর দেরি না করে আজই আবেদন করুন


ক. ক্যান্সার, কিডনি লিভার সিরোসিস স্ট্রোকে প্যারালাইজড জন্মগত হার্ড ও থ্যালাসেমিয়া রোগের আক্রান্ত গরীব রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান

খ. আক্রান্ত রোগী পরিবহনের সহায়তা করা

গ. সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সহায়তা করা


 কর্মসূচি বাস্তবায়নের কৌশল


ক্যান্সার, কিডনি লিভার সিরোসিস স্ট্রোকে প্যারালাইজড জন্মগত হার্ড ও থ্যালাসেমিয়া রোগের আক্রান্ত গরীব রোগীদের শনাক্ত করে সমাজসেবা অধিদপ্তরের জনবল, স্থায়ী প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনের সহযোগিতায় এই নীতিমালা অনুসরণ করে প্রকৃত দুস্থ ও অসহায় ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়ন পূর্ব গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে


 কার্য এলাকা


ক্যান্সার, কিডনি লিভার সিরোসিস স্ট্রোকে প্যারালাইজড জন্মগত হার্ড ও থ্যালাসেমিয়া রোগের আক্রান্ত গরীব রোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচিতে কার্য এলাকা বলতে সমগ্রবাংলাদেশ বোঝাবে


 আর্থিক সহায়তা /  অনুদানের পরিমাণ


ক্যান্সার, কিডনি লিভার সিরোসিস স্ট্রোকে প্যারালাইজড জন্মগত হার্ড ও থ্যালাসেমিয়া রোগের আক্রান্ত গরীব রোগীদের এককালীন ৫০,০০০/- টাকা প্রদান করা হবে, আর্থিক অনুদান বৃদ্ধি/ হাঁসের ক্ষমতা সরকার সংরক্ষণ করেন।


প্রার্থী নির্বাচনের মানদন্ড


  • নাগরিকত্ব- প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে
  •   দুস্থ- সর্বোচ্চ দুস্থ ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে


 অর্থ সামাজিক অবস্থা


আর্থিক অবস্থার ক্ষেত্রে- শিশু, নিঃস্ব, উদ্বাস্তু ও ভূমিহীনদের কে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

 ভূমির মালিকানা- প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ভূমিহীন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে এক্ষেত্রে বসতবাড়ি ব্যতীত কোন ব্যক্তির জমির পরিমাণ ৫০ একর বা তার কম হলে তিনি ভূমিহীন বলে গণ্য হবেন।


  • চিকিৎসা সহায়তার জন্য অনলাইনে আবেদনের লিংক
  • চিকিৎসা সহায়তার আবেদন ফরম
  • সমাজসেবা অধিদপ্তর এ রোগীর ফরম
  • আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন
  • আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন ফরম ২০২২
  • আর্থিক সাহায্যের আবেদন ফরম ২০২১



 আর্থিক সহায়তা প্রার্থীর যোগ্যতা ও শর্তাবলি


১। ক্যান্সার, কিডনি লিভার সিরোসিস স্ট্রোকে প্যারালাইজড জন্মগত হার্ড ও থ্যালাসেমিয়া রোগের আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যায়িত হতে হবে।


২। যেমন-ক্যান্সার, কিডনি লিভার সিরোসিস স্ট্রোকে প্যারালাইজড জন্মগত হার্ড ও থ্যালাসেমিয়া রোগের আক্রান্ত ডাইলেসিস সেবা নিচ্ছে এমন রোগীদেরকে বিবেচনা করতে হবে, তবে যে সকল এলাকায় ডায়ালাইসিস সেবা নেওয়ার সুযোগ নেই, সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগীর স্বপক্ষে প্রত্যায়ন গ্রহণ সাপেক্ষে সাহায্য প্রদান করা যাবে।


৩।  জাতীয় পরিচয় পত্র/ জন্ম সনদ প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত ফটোকপি থাকতে হবে।


৪। বাছাই কমিটি কর্তৃক নির্বাচিত হতে হবে।


 প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া


 ১। উপ-পরিচালকক্যান্সার, কিডনি লিভার সিরোসিস স্ট্রোকে প্যারালাইজড জন্মগত হার্ড ও থ্যালাসেমিয়া রোগের আক্রান্ত রোগীকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য প্রাপ্ত আবেদনের আলোকে একটি প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত করে জেলা কমিটিতে পেশ করবেন।


 ২। সংশ্লিষ্ট উপ-পরিচালক আবেদনকারীক্যান্সার, কিডনি লিভার সিরোসিস স্ট্রোকে প্যারালাইজড জন্মগত হার্ড ও থ্যালাসেমিয়া রোগের আক্রান্ত গরীব রোগীদের মধ্য প্রাথমিকভাবে যোগ্য ও অযোগ্য ব্যক্তির চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্য সম্বলিত দুটি পৃথক তালিকা রেজিস্টার সংরক্ষণ করবেন।


 ৩। উক্ত তালিকা এবং প্রাপ্ত আবেদনসহ জেলা বাস্তবায়ন কমিটির সভায় উপস্থাপন করতে হবে এবং বাস্তবায়ন কমিটি আবেদন পত্র সমূহ যাচাই করে আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তির যোগ্য একটি তালিকা আনুষঙ্গিক কাগজপত্রসহ অনুমোদনক্রমে চেক বিতরণ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ।


আবেদন পত্র কোথায় জমা দিবেন


১। আবেদন ফরম সহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র ও প্রত্যয়ন পত্র পূরণ করে দুই কপি নিজ উপজেলা/ শহর সমাজসেবা কার্যালয় জমা দিতে হবে, উল্লেখ্য বছরের যেকোনো সময়ে উপজেলা/ শহর সমাজসেবা কার্যালয় গুলোতে আবেদন জমা দেওয়া যাবে।


২। ক্যান্সার, কিডনি লিভার সিরোসিস স্ট্রোকে প্যারালাইজড জন্মগত হার্ড ও থ্যালাসেমিয়া রোগের আক্রান্ত গরীব রোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতিমালা ২০১৯ সংশোধিত ।


সকলের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য


এই পোস্টটি জনকল্যাণমূলক আপনার আশেপাশের এলাকায়  গরীব, দুস্থ, অসহায়, ভূমিহীন যারা টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না তাদেরকে সহযোগিতা করুন আর কিছু না পারেন এই পোস্টটি শেয়ার করে তাদের কাছে পৌঁছে দিন তারা যাতে খুব সহজে এই অনুদান গ্রহণ করতে পারেন বিশেষভাবে অনুরোধ রইল সকল ভাই বন্ধুদের কাছে।


আবেদন ফরম 







অনলাইনে আবেদনের লিংক www.welfaregrant.gov.bd 


ক্যান্সার

 বিশ্বের সমস্ত প্রাণীর শরীরে অসংখ্য ছোটখাটো কোষের মাধ্যমে তৈরি, একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর মারা যায়, এই পুরনো কোষগুলো জায়গায় এসে জায়গা করে নেয়, সাধারণভাবে কোষগুলো নিয়ন্ত্রিতভাবে এবং নিয়মিত বিভাজিত হয়ে পড়ে নতুন কোষের জন্ম দেয়, সাধারণভাবে বলতে গেলে যখনই এই কোষগুলো কোন কারনে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে তখনই ত্বকের নিচে মাংসের দলা অথবা চাকা দেখা যায়, একেই টিউমার বলে, এ টিউমার বা ম্যাজিক ম্যান, হতে পারে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার ক্যান্সার, সংক্ষেপে বলতে গেলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজন বৃদ্ধি পাওয়া কোষকে টিউমার বলে এবং এই নিয়ত ম্যালিগন্যান্ট রূপকে কী বলে।


 কিডনি রোগ


কিডনির কার্যক্ষমতা হারাতে থাকে তখন শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, যদি কিডনি রোগ বেশি বেড়ে যায় তখন রক্তের দূষিত পদার্থ বাড়তে থাকে এবং অসুস্থ বোধ হতে থাকে, সেইসঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, অ্যানিমিয়া লাল রক্ত কণিকা স্বল্পতা, দুর্বলতা, পুষ্টিহীনতা, স্নায়বিক ক্ষতি ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষতিগ্রস্থতার দেখা দিতে, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ রক্তনালির রোগ বৃদ্ধি করতে পারে, এসব রোগ এবং রোগের বৃদ্ধি করতে থাকে ধীরগতিতে এবং অনেকদিন ধরে, ডায়াবেটিস, উচ্চ নেপালি ডিসঅর্ডার এর কারণে ক্রনিক কিডনি রোগ হতে পারে, প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা করালে রোগ নিরাময় বা নিয়ন্ত্রণ বা আরো খারাপ হওয়ার দ্রুত তাকে ধীরগতি সম্পন্ন করা যায়, যদি রোগ দ্রুত বাড়তে থাকে এবং একপর্যায়ে কিডনি বিকল হয়ে পড়ে তখন কৃত্তিম উপায়ে অর্থাৎ ডায়ালাইসিস পদ্ধতিতে রক্ত পরিশুদ্ধ ব্যবস্থা করতে হয় এবং কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে জীবন রক্ষা করা যেতে পারে।


 লিভার সিরোসিস


লিভারের একটি ক্রনিক রোগ, যাতে লিভারের সাধারণ আর্কিটেকচার নষ্ট হয়ে লিভারের স্বাভাবিক কর্ম ক্ষমতা হারায়, অনেকক্ষেত্রে লিভার সিরোসিস থেকে লিভার ক্যান্সারে দেখা দিতে পারে।


 স্ট্রোকে প্যারালাইজড


 হঠাৎ করে শরীরের যে কোন অংশ কর্মক্ষমতার অথবা পক্ষাঘাত হওয়া যায় ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে থাকবে এবং যা মস্তিষ্কে রক্ত নালীর জটিলতার কারণে সৃষ্টি —----------


 জন্মগত হৃদরোগ


জন্মের সময় শিশুর হৃদপিন্ডের বিভিন্ন ত্রুটি ডেভেলোপমেন্টাল এনোমালি থাকতে পারে, এর মধ্যে হৃদপিন্ডের মত আইডিয়াল সেপটাল ডিফেক্ট ভেন্ত্রিকুলার, সেপটাল ডিফেক্ট,টাটালজি অফ ফ্যলোট, পেটেন্ট ডাইজেস্ট হাই টাওয়ার্স ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য, এইসব জন্মগত হূদেরাগে ত্রুটির কারণে একদিকে যেমন শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়, তেমনি ধীরে ধীরে এই ত্রুটি সমূহ অনিরাময়যোগ্য হয়ে যায়, যার পরিনাম নিশ্চিত মৃত্যু, অনিরাময়যোগ্য হওয়ার পূর্বে যদি যথাযথ চিকিৎসা যেমন কার্ডিয়াক সার্জারি বা ডিভাইস ক্লিয়ার করা যায় তবে রোগীরা সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন লাভ করতে পারে।


থ্যালাসেমিয়া


থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ, রক্তে অক্সিজেনের পরিবহনকারী হিমোগ্লোবিন কর্নার উৎপাদনের ত্রুটি হয়, থ্যালাসেমিয়া ধারণকারী মানুষ সাধারণত রক্তের অক্সিজেন স্বল্পতায় বা এনিমিয়া তে ঢুকতে থাকে, অ্যানিমিয়ার ফলে অবসাদগ্রস্ততা থেকে শুরু করে অঙ্গহানি করতে পারে, থ্যালাসেমিয়া দুটি প্রধান ধরনের হতে পারে, আলফা থ্যালাসেমিয়া ও বেটা থালাসেমিয়া, সাধারণভাবে আলফা থ্যালাসেমিয়া থ্যালাসেমিয়া থেকে কম টিকল আলফা থ্যালাসেমিয়া বিশিষ্ট ব্যক্তির ক্ষেত্রে রোগের উপসর্গ বা মাঝারি প্রকৃতির হয়, অন্যদিকে থেকে রোগের তীব্রতা মাপক অনেক বেশি, ১২ বছরের শিশুর ক্ষেত্রে ঠিকমতো চিকিৎসা না করলে একটি শিশুর মৃত্যুর কারণ হতে পারে, এ রোগে আক্রান্ত শিশুরা ফ্যাকাশে ও দুর্বলতা প্রকাশ পায় এবং শারীরিক বৃদ্ধি কমে যায়, প্লীহা বড় হয়ে পেট ফুলে যায়, অস্থির চওড়া হয়ে বিকৃত আকার ধারণ করে এবং শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, থ্যালাসেমিয়ার মেজর নিয়মিত রক্ত সঞ্চালন প্রধান চিকিৎসা, প্রতিস্থাপন একটি কার্যকরী চিকিৎসা, থ্যালাসেমিয়ার নিরাময়যোগ্য তবে যেহেতু এটি একটি জন্মগত সমস্যা, যদি তার জিনগত সমস্যা কি পরিবর্তন করা না হয়, অর্থাৎ যে অঙ্গ দিয়ে সমস্যাযুক্ত হিমোগ্লোবিন তৈরি হচ্ছে, সেও অঙ্গ মানে অস্থি মজ্জা এটাকে যদি অস্থি মজ্জা সংযোজনের মাধ্যমে পরিবর্তন করা যায়, তাহলে একে পুণ্য নিরাময় করা সম্ভব।


ক্যান্সার, কিডনি লিভার সিরোসিস স্ট্রোকে প্যারালাইজড জন্মগত হার্ড ও থ্যালাসেমিয়া রোগের আক্রান্ত গরীব রোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতিমালা ২০১৯ সংশোধিত ।





















Previous Post
Next Post
Related Posts