পুলিশে চাকরি পেতে কি কি পরীক্ষা দিতে হয়? কি কি যোগ্যতা লাগে? পুলিশে চাকরি পেতে কি কি ধাপ পার হতে হয়? What test to gat a job in the police? What qualification does it take? What are the steps to gat a job in the police?

 


পুলিশে চাকরি পেতে কি কি পরীক্ষা দিতে হয়? কি কি যোগ্যতা লাগে? পুলিশে চাকরি পেতে কি কি ধাপ পার হতে হয়?

What test to gat a job in the police? What qualification does it take? What are the steps to gat a job in the police?

পুলিশের চাকরির আবেদনের শারীরিক যোগ্যতা?

physical qualification of police job application?

পুলিশে চাকরি পেতে শারীরিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে সাধারণ ও অন্যান্য  কুটার পুরুষ প্রার্থীদের জন্য উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি হতে হবে। আর বুকের মাপ পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১  ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি হতে হবে। বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।দৃষ্টিশক্তি ৬/৬ থাকতে হবে।মুক্তিযোদ্ধা ও উপজাতি কোটার ক্ষেত্রে শারীরিক যোগ্যতা ও বয়সের ভিন্নতা রয়েছে।মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় উচ্চতা ৫ ফুট ৪  ইঞ্চি, বুকের মাপ ৩০ ইঞ্চি, সম্প্রসারিত ৩১ ইঞ্চি। উপজাতি কোঠায় উচ্চতা ৫ ফুট,৪ ইঞ্চি, বুকের মাপ ৩১ ইঞ্চি, সম্প্রসারিত ৩৩ ইঞ্চি, প্রার্থীদের অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। 


পুলিশের চাকরির শিক্ষাগত যোগ্যতা ? Educations for police jobs?

এসএসসি বা সম্মান পরীক্ষায় কমপক্ষে জিবিএ ২.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণরা পদটিতে আবেদন করতে পারবেন। 


পুলিশে চাকরি পেতে কি কি পরীক্ষা দিতে হয়?

What test to gat a job in the police?

এ পরীক্ষায় সাধারণত এসএসসি সম্মানের বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত ও সাধারণ জ্ঞান থেকে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। এ পরীক্ষা ১  ঘন্টা ৩০  মিনিটের হয়ে থাকে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের পুনরায় ২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা দিতে হয়। উত্তীর্ণ হতে উভয় পরীক্ষায় ৪৫ শতাংশ নাম্বার পেতে হবে। 


পুলিশে চাকরি পেতে কি কি ধাপ পার হতে হয়?

What are the steps to gat a job in the police?

প্রথম ভাবে পুলিশের চাকরির আবেদনের পর আপনাকে নির্ধারিত করা কোন একটি তারিখে নিজের জেলার পুলিশ লাইন মাঠে সঠিক সময় উপস্থিত হতে হবে।


১ম ধাপ‘‘ আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সাথে নিয়ে যেতে হবে আপনার জন্ম নেই বন্ধন পত্রের ফটোকপি, পিতা মাতার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, স্কুল সার্টিফিকেট, এসব কাগজগুলো অবশ্যই সাথে নিয়ে যাবেন। 


২য় ধাপ ‘‘মাঠে প্রথমে আপনার বয়স পরীক্ষা করে উচ্চতা ,বুকের মাপ  বিশেষ করে দাঁত চেক করে বয়স নির্ণয় করা যায় এর পর আপনার উচ্চতা পরীক্ষা করা হবে । উচ্চতা অনুযায়ী আপনার ওজন দেখবে।


৩য় ধাপ ‘‘বয়স, উচ্চতা ও ওজন পরীক্ষার পর শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষা করা হবে। এক্ষেত্রে একেক জায়গায় একেক ধরনের হয়ে থাকে, দৌড়ের পরীক্ষা হতে পারে আবার লং জব এর পরীক্ষা হতে পারে, এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আপনাকে প্রবেশপত্র দেওয়া হবে।


৪র্থ ধাপ‘‘ ৩ নম্বর ধাপে উত্তীর্ণ হওয়ার পর আপনাকে যে প্রবেশপত্র দেওয়া হবে, তা আপনার ৪ নম্বর ধাপে কাজে লাগবে। এই ধাপে তিনটি পরীক্ষা হয়। লিখিত, মনস্তাত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা।


৫ম ধাপ‘‘ লিখিত পরীক্ষায় সাধারণত ৮ম শ্রেণী থেকে ১০ম  শ্রেণীর পর্যন্ত বই থেকে প্রশ্ন করে থাকে। এই পরীক্ষায় আপনাকে সময় দিবে ১ ঘন্টা ৩০  মিনিট। এই পরীক্ষার পূর্ণমান ৪০। পরীক্ষায় প্রশ্ন করবে বাংলা, ইংরেজি , গণিত ও  সাধারণ জ্ঞান।


মনস্তান্ত্রিক পরীক্ষা

আপনার জ্ঞান যাচাই করার জন্য বুদ্ধির প্রশ্নের উত্তর উপর ভিত্তি করে আপনাকে এই পরীক্ষা করা হবে। এখানে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হতে পারে। তবে কঠিন প্রশ্ন করা হয় না একটু মাথায়  চিন্তা করলেই উত্তর পেয়ে যাবেন।


 মৌখিক পরীক্ষা

 মৌখিক পরীক্ষায় বেশি কিছু জিজ্ঞেস করা হয় না। সাধারণত ব্যক্তিগত তথ্যসমূহ জিজ্ঞেস করা হয়। তাছাড়া আপনাকে সাধারণ জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন করতে পারে তারা। প্রধানমন্ত্রীকে, মুদ্রার নাম কি, রাষ্ট্রপতিকে, কোন জেলায় বাড়ি, এমপি কে, ইত্যাদি জিজ্ঞেস করতে পারে। তবে বিশেষ করে মৌখিক পরীক্ষার সময় আপনার ভদ্রতার ব্যাপার গুলো ভালো করে নজর দেন তারা।


শেষ ধাপ

সবগুলো পরীক্ষা শেষ হওয়ার অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশ করা হয়। আর সে ফলাফল প্রকাশের সময় প্রার্থীদের তাদের রোল নাম্বার অনুসারে ডাকা হয়। উল্লেখ, প্রার্থীদেরকে আবেদন করার পর তাদের রোল নম্বর তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে উত্তীর্ণ হতে পারলে পরের ধাপে সহজে টিকিয়ে যাওয়া যাবে। 


লিখিত মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর সকলকে পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন এ কারণে করা হবে তিনি সরকার বিরোধী বা রাষ্ট্রবিরোধী কোন কাজে লিপ্ত কিনা সমাজবিরোধী কোনো কাজে লিপ্ত কিনা তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা বা আইনি কোন সমস্যা আছে কিনা এ জাতীয় ভেরি ভেরিফিকেশন করা হয়।


পুলিশ ভেরিফিকেশনের পর আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সকল বিষয়গুলো দেওয়া হবে। কিনা কোন ধরনের ভাইরাস দ্বারা আপনি আক্রান্ত, তাও শারীরিকভাবে ফিট কিনা যা যাচাই করা হবে।


এভাবেই সাধারণত পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে থাকে। আপনারা যদি বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দিতে ইচ্ছুক হন তাহলে আমাদের এই পোস্ট গুলো ভালো করে ফলো করবেন তাহলে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দিতে আপনার জন্য সহজ থেকে সহজ হবে। আরো বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।


Previous Post
Next Post
Related Posts