সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ ,২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন PDF

 


সরকারি চাকরি আইন ২০১৮

 ২০১৮সালের ৫৭ নং আইন PDF

বাংলাদেশে চাকরি আইন সরকারি রুলস

এর নিয়ম মেনে লেখা

সরকারি চাকরি আইন গেজেট দেখতে চাইলে অথবা

ডাউনলোড করতে লিংকে ক্লিক করুন


 প্রজাতন্ত্রের কর্মবিভাগ সৃজন ও পূর্ণ গঠন একই করুন সংযুক্ত করুন এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মে কর্মচারীগণের নিয়োগকর্তাদের কর্মের শর্তাবলী নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ এবং এতদসংক্রান্ত বিদ্যামান বিধানাবলী  সংহত করন কল্পে প্রণীত আইন ।

PDF


যেহেতু সংবিধানের ১৩৬ অনুচ্ছেদের আইনের দ্বারা প্রজাতন্ত্রের কর্মবিভাগ সিজন সংযুক্তকরণ ও একই করণসহ পুনর্গঠন এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কোন ব্যক্তির কর্মে শর্তাবলীর তারতম্য পরিবার ও উহার রদ করিবার বিধান রয়েছে এবং

 যেহেতু সংবিধানের ১৩৩ অনুচ্ছেদে প্রজাতন্ত্রের কর্মের কর্মচারীগণের নিয়োগ ও তাদের কর্মের শর্তাবলী আইন দ্বারা নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করিবার বিধান রহিয়াছে এবং

 যেহেতু প্রজাতন্ত্রের কর্মে কর্মচারীগণের নিয়োগ ও কর্মের সত্য বলি সম্পর্কিত বিদ্যমান বিধানসমূহ  সংহত করণের মাধ্যমে আইন প্রণয়ন করিবার পর প্রয়োজনীয়তা রহিয়াছে এবং

 যেহেতু সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদে সকল সময়ে জনগণের সেবা  করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য হইবে বলিয়া ঘোষণা করা হয়েছে এবং

 যেহেতু সংবিধানে বর্ণিত নির্দেশমূলক বাস্তবায়ন ও প্রতিফলনের দক্ষ জনবান্ধব স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক জনপ্রশাসন নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে বিধান করা সমীচীন অপ্রয়োজনীয়


 যেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল


 সুচি

 ধারা সমূহ


 প্রথম অধ্যায়

প্রারম্ভিক

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম প্রয়োগ ও প্রবর্তন বাংলাদেশে চাকরি আইন সরকারি রুলস

 

১।(১)এই আইন সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে। 


২।উপধারা(৩) এর বিধান সাপেক্ষে এই আইন প্রজাতন্ত্রের কর্মে উহাতে নিয়োজিত কর্মচারীগণের জন্য প্রযোজ্য হইবে।


৩। অন্য কোন আইন চুক্তি বা সমজাতীয় দলিলের ভিন্নরূপ কোন বিধান না থাকলে এই আইনের বিধান বলি নিম্নবর্ণিত কর্ম বা কর্মবিভাগ বাহাতে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য হইবে না ।


ক।সংবিধান দ্বারা সৃষ্টি কোন চাকরি বাবদ।


খ। বিচার বিভাগ।


গ। প্রতিরক্ষা ও কর্ম বিভাগ।


ঘ। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।


ঙ। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।


চ। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।


ছ।জাতীয় সংসদ সচিবালয়।


জ। স্ব শাসিত সংস্থা ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান।


ঝ।স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান।


ঞ। সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প কর্মসূচি বা অনুরূপ কোনো কার্যক্রম এর আওতাধীন চাকরি এবং।


ট। অ্যাপ্রেন্টিস চুক্তি বা অন্য কোনো প্রকার অস্থায়ী সামরিক বা খণ্ডকালীন চাকরি।


৪।উপধারা তিনি উল্লেখিত যে সকল কর্ম বা কর্মবিভাগ প্রভাতে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ধারায় 61 এর অধীন রোহিত যেকোনো আইনের বিধান যেভাবে প্রযোজ্য ছিল সে সকল বিধান বিষয়বস্তু প্রতিফলনের যে সকল বিধান এই আইনের সংযোজিত হয়েছে ওভা প্রযোজ্য হইবে।


৫। সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা যে তারিখ নির্ধারণ করবে সেই তারিখে এই আইন কার্যকর হইবে।


গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সরকারি রুলস । এস আর ও নং ৩০৫ আইন ২০১৯ তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ দাঁরা ১৪২৬ বঙ্গাব্দ মোতাবেক (১)অক্টোবর ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ হইতে এই আইনটি কার্যকর হয়ে আছে।


২।বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিস্থিতি কোন কিছু না থাকিলে এই আইনে।


১।আইন অর্থ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫২ সংজ্ঞায়িত আইন।


২। উদ্বৃত্ত সরকারি কর্মচারী অর্থ কোন সরকারি কর্মচারী যাহার প্রশাসনিক পূর্ণগঠন জনবল বা অন্য কোন কারণে সরকার কর্তৃক বিলুপ্ত হয়ে  হইয়াছে।


৩। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অথবা আপাতত কোনো আইন বা সরকারি আদেশ দ্বারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দায়িত্ব পালন ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ এবং এতদুর ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মচারী ও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।


৪। অ্যাপ্রেন্টিস অর্থ প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগপ্রাপ্ত নয় তবে এরূপ নিয়োগ এর উদ্দেশ্য কোন বৃত্তি বা পেশা সম্পর্কে প্রশিক্ষণরত কোন ব্যক্তি যিনি উক্ত প্রশিক্ষণকালে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাতা প্রাপ্ত নন। 


৫।কমিশন অর্থ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন।


৬। প্রজাতন্ত্রের কর্মে বিভাগ অর্থ প্রজাতন্ত্রের কর্মে এর অন্তর্ভুক্ত যেকোনো কর্মবিভাগ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত স্বতন্ত্র ইউনিট।


৭। অর্থ কোন সরকারী কর্মচারীকে তার নিজস্ব অথবা নিয়মিতভাবে নিয়োগ যোগ্যতা পপ কর্মবিভাগ হইতে ভিন্নতর কোন কর্ম বাপন কর্মবিভাগে অস্থায়ীভাবে পেসন।


৮।বেতন অর্থ একজন কর্মচারী প্রতি মাসে বেতন ওভারসীজ বিশেষ বেতন ব্যক্তিগত বেতন বা সরকার কতৃক বেতন হিসেবে বিশেষভাবে শ্রেণীভূক্ত অন্য কোন প্রকার আপত্তি অর্থ প্রভা তবে কোন পদে স্থায়ীভাবে বা অফিশিয়াল হিসেবে অধিষ্ঠিত থাকার কারণে বা কোন কর্মবিভাগ তাহার অবস্থানের কারণে বিশেষ বেতন-ভাতার ব্যক্তিগত যোগ্যতা কারণে মঞ্জুরীকৃত ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না ।


৯।বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরি অর্থ কোন বিদেশী রাষ্ট্রপতি কোন শিক্ষিত আন্তর্জাতিক আঞ্চলিক বহুজাতিক বা বেসরকারি সংস্থার অধীনে চাকরি।


১০। বিডি অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বৃদ্ধি এবং অনুরণিত না হওয়া পর্যন্ত প্রজাতন্ত্রের কর্মে ওয়াতে কর্মচারীগণের নিয়োগ এবং কর্মের শর্তাবলী সম্পর্কিত আপাতত বড় অন্যান্য বিধান বিহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।


১১। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান অর্থ সরকার অথবা কোন সাহিত্য শাসিত সংস্থা মালিকানাধীন বা ও হাতে ন্যস্ত অথবা শতকরা ৫০ ভাগ এর অধিক সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত কোন ব্যবসা উদ্যোগ কোম্পানি ব্যাংক-বীমা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অথবা শিল্প বাণিজ্য সম্পর্কিত বা অনুরূপ প্রতিষ্ঠান।


১২। লিয়েন অর্থ প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন ইচ্ছাই পদে স্থায়ীভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যক্তি উক্ত পদে স্থায়ীভাবে অতিষ্ঠ অধিকার ।


১৩।শিক্ষানবিশ অর্থ প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন স্থায়ী পদের বিপরীতে সরাসরি পদ্ধতির মাধ্যমে নিয়োগকৃত কোন কর্মচারী যাহার চাকরি স্থায়ীকরণ হয় নাই।


১৪। সরকারের অর্থ এই আইনে বর্ণিত কোন কার্য সম্পাদনের জন্য অনুসারে ক্ষমতা বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন মন্ত্রণালয় বিভাগ।


১৫ ।সরকারি আদেশ অর্থ হাজার ১৯৯৬ এর অধীন গা হো হাতে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার কর্তৃক সময় সময় প্রদত্ত আদেশ-নির্দেশ প্রজ্ঞাপন পরিবর্তন।


১৬। সরকারি কর্মচারী অর্থ এ আইনের আওতামুক্ত প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কোন ব্যক্তি।


১৭ ।সংবিধান অর্থ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধান।


১৮। সাহিত্য শাসিত সংস্থা অর্থ আপাততঃ বলবৎ আইনের বিধান দ্বারা অথবা উহার অধীনে প্রতিষ্ঠিত গঠিত এবং প্রশাসনের পরিচালিত দফা পাশে উল্লিখিত কমিশন ব্যতীত অন্য কোন কমিশন অথবা কোনো কর্তৃপক্ষ ইনস্টিটিউট বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা স্বতন্ত্র আইন রয়েছে।


১৯। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অর্থ সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে উদ্দেশ্য পূরণকল্পে আইন দ্বারা বা ওভার অধীন প্রতিষ্ঠিত গঠিত কোন কর্তৃপক্ষ।


২০। স্থায়ী পদ অর্থ একটি নির্দিষ্ট বেতন গ্রেড ও সীমিত সময়ের জন্য মঞ্জুরীকৃত প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন পদ এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্তপূরণ সাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময় অস্থায়ী করিবার উদ্দেশ্যে রাজস্বখাতে অস্থায়ীভাবে ও অন্তর্ভুক্ত হইবে । 


আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন এই আইন-বিধান বলি প্রাধান্য পাইবে

 গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সরকারি রুলস । তবে শর্ত থাকে যে প্রজাতন্ত্রের কোন কর্ম বা ওভার আওতাভুক্ত কোন বিশেষ শ্রেণীর জন্য আপাততঃ বলবৎ কোন অন্য কোন আইন অথবা অনুরূপ আইনের অধীন প্রণীত বিধি প্রয়োগবিধি আদেশ কোন বিশেষ বিধান থাকলে অনুরোধ বিশেষ বিধান প্রাধান্য পাইবে।


৪।প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কর্মচারীগণের নিয়োগ এবং কর্মের সম্পর্কিত আপাততঃ বলবৎ কোন আইন ও আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন দলিলের বিধান এবং এতদসংক্রান্ত সরকারি অফিস সমূহ এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে কার্যকর থাকিবে।


দ্বিতীয় অধ্যায় বাংলাদেশে চাকরি আইন সরকারি রুলস

 প্রজাতন্ত্রের কর্মে এবং কর্মবিভাগ সৃজন ও পুনর্গঠন 

প্রজাতন্ত্রের কর্মে এবং কর্মবিভাগ সিজন পূর্ণগঠন


৫।( ১)সরকার সরকারি গেজেটে আদেশ দ্বারা প্রজাতন্ত্রের যে কর্ম বা কর্মবিভাগ সিজন সংযুক্তকরণ একে করুন বা বিলুপ্তকরণ সহ অন্য যেকোন ভাবে পূর্ণগঠন করিতে পারিবে।


(২)উপধারা 1 এর অধীন জারিকৃত আদেশ দ্বারা কোন সরকারি কর্মচারী কর্মচারীর তারতম্য করা ভারত করা যাইবে


(৩) উপধারা 1 এর অধীন জারিকৃত আদেশের ভূতাপেক্ষ কার্যকরতা প্রদান করা যাইবে


তৃতীয় অধ্যায় বাংলাদেশে চাকরি আইন সরকারি রুলস

সরকারের নিয়ন্ত্রণ  ও এখতিয়ার 

সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও খতিয়ার


৬। (১) সরকারি কর্মচারীদের ওপর সরকারের এবং সরকারের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে তাহার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও নিয়ন্ত্রণ থাকবে ।


(২)সরকার এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে প্রজাতন্ত্রের কর্মে কর্মচারীগণের নিয়োগ ও কর্ম সম্পর্কিত সাধারণ বা বিশেষ যেকোনো সর্ত নির্ধারণ করিতে পারিব।


(৩)সরকার বা ক্ষেত্র মতো উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সরকারি কর্মচারীর পদ পদবী কর্মপরিধি কর্ম বা চাকরি সম্পর্কে তদায় একটি আর নির্ধারণ বা পরিবর্তন করিতে পারিবে এবং জনস্বার্থে তাহাকে যেকোনো কর্মকা দায়িত্ব নিয়ে যেতে পারবেন।


 চতুর্থ অধ্যায় বাংলাদেশে চাকরি আইন সরকারি রুলস

 নিয়োগ পদোন্নতি পদায়ন


নিয়োগ ,পদোন্নতি, শিক্ষানবিশকাল ও চাকরি স্থায়ীকরণ, পেশন, নিয়েন, বদলি পদায়ন ও কর্মপন্থা নির্ধারণ, বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরি গ্রহণ ,জ্যেষ্ঠতা, উদ্দীপ্ত সরকারি চাকরি অন্তরীকরণ।


৭।(১)এই আইনের আওতামুক্ত কোন কর্ম বা কর্মবিভাগ সরাসরি জনবল নিয়োগের ভিত্তিক হইবে মেধা ও উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা।


(২ )সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৯(৩) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পথ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।


(৩ )বাংলাদেশের নাগরিক নন এমন কোন ব্যাক্তিকে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ করা যাইবে না।


(৪) যে সকল পদের ক্ষেত্রে কমিশনের পরামর্শ গ্রহণ বা সুপারিশ অবশ্য কথা রয়েছে সে সকল পদের কমিশন এবং অবশিষ্ট প্রদেশ সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে গঠিত কমিটি বা কর্তৃপক্ষের সুপারিশ ব্যতীত কে কোন ব্যক্তি কে প্রজাতন্ত্রের কর্মে সরাসরি নিয়োগ করা যাবে না।


(৫) প্রজাতন্ত্রের কর্মে সরাসরি নিয়োগের অন্য বিষয় শর্তাদি সরকারকর্তৃক এই আইন আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে নির্ধারিত হইবে।


৮।(১)কোন স্থায়ী সরকারি কর্মচারীকে সততা মেধা দক্ষতা জ্যেষ্ঠতা প্রশিক্ষণ ও সন্তোষজনক চাকরি বিষয় বিবেচনা করে পদোন্নতি প্রদান করিতে হইবে।


(২)এই আইন ও আপাততঃ বলবৎ কোন আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে প্রজাতন্ত্রের কর্মে পদোন্নতি প্রদান সম্পর্কিত বিষয় ও ষত্ব বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।


শিক্ষানবিশকাল ও চাকরি স্থায়ীকরণ চাকরি স্থায়ীকরণ সম্পর্কিত বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে ।

৯।ফ্যাশন ও লিয়েন সম্পর্কিত বিষয় ও ষত্ব বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।


১০।(১)সরকার বাপ ক্ষেত্র মতো উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ কোন সরকারী কর্মচারীকে এর তত্ত্ব সংক্রান্ত বিধান অনুসারে বদলি প্রদান বা তাহার কর্মস্থল নির্ধারণ করিতে পারিবে।


(২) যে ক্ষেত্রে কর্মস্থল নির্ধারণের জন্য বিদ্যমান বিধানবলে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকে সে ক্ষেত্রে সুস্থ জনবল ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সরকারের অনুমোদনক্রমে ওভার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ আইন সরকারি কর্মচারী বদলি ও পদায়ন কর্মস্থলে ধারণের পদ্ধতি করিতে পারিবেন।


বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরি গ্রহণ



১১।বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরি গ্রহণ সম্পর্কিত বিষয় ও সত্যবতীর বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।


১২। (১)আপাতত কোনো আইনের বিধান অনুসারে সরকারি কর্মচারী গণের জ্যৈষ্ঠ তা নির্ধারিত হইবে। 


(২) কোন পদের ক্ষেত্রে সংক্রান্ত বিধান না থাকিলে উপধারায় একের অধিক তা নির্ধারণ করা সম্ভব না হইলে সরকার যে রূপ উপযুক্ত মনে করবে সেটা নির্ধারণ করিতে পারিবে।


১৩।(১)প্রজাতন্ত্রের কোন কর্মের বিলুপ্ত প্রশাসনিক পুনঃবিন্যাস জনশক্তি করণের ফলে উদ্দীপ্ত কোন সরকারি কর্মচারীদের যতদূর সম্ভব অনুরূপ উদ্দীপ্ত হইবার অব্যাহতির পূর্বে বেতন স্কেল স্কেল যুক্ত পদে নিয়োগ করিতে হইবে। 


 (২)জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ব্যতীত কোন সরকারী কর্মচারীকে প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন পদে অন্তঃকরণ করা যাবে না।


(৩) উদ্বৃত্ত সরকারি কর্মচারী আত্তীকরণ সম্পর্কিত পদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট বিধি বিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।


পঞ্চম অধ্যায় বাংলাদেশে চাকরি আইন সরকারি রুলস

বেতন ভাতা সুবিধা ইত্যাদি

বেতন-ভাতা অসুবিধা নির্ধারণ

১৪ ।সরকার সরকারি গেজেট আদেশ দ্বারা কোন সরকারি কর্মচারীরা সকল সরকারি কর্মচারী সরকারি কর্মচারী গনের কোন অংশের জন্য কোনো বেতন ভাতা বেতনের গ্রেড বাইরের অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্যতা অবসর সুবিধা সম্পর্কিত তথ্যাদি নির্ধারণ করিতে পারিবে।



 ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ ছুটি বাংলাদেশে চাকরি আইন সরকারি রুলস

ছুটি


১৫। একজন সরকারি কর্মচারী তাহার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধান পোলিও সরকারি আদেশ অনুসারে ছুটি প্রাপ্য হইবেন। এবং উহা ভোগ করিতে পারিবেন সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়ে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।


সপ্তম অধ্যায় বাংলাদেশে চাকরি আইন সরকারি রুলস

প্রশিক্ষণ কর্মজীবন কর্মপরিকল্পনা ইত্যাদি


অনুশিক্ষণ কর্মজীবন পরিকল্পনা কর্ম মূল্যায়ন প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মূল্যায়ন চাকরির বই চাকরির বৃত্তান্ত ইত্যাদি।


১৬।সরকারি কর্মচারী পেশাগত দক্ষতা ও দক্ষতার উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে সরকার বা ক্ষেত্র মতো উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন কর্মবিভাগ উপযোগী পরিয়া প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত নীতিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন।


১৭। সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান সমূহের লক্ষ্যে ও উদ্দেশ্য অর্জন এবং সুস্থ-সবল ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য সরকার বা ক্ষেত্র মতো উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন কর্মবিভাগ উপযোগী করিয়া কর্মজীবী পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে।


১৮। সরকারি কর্মচারীদের বস্তনিষ্ঠ কর্ম মূল্যায়নের উদ্দেশ্য হল হলমুখী কার্যসম্পাদন গত নিরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রণয়ন করিতে হইবে।


৯।সরকার সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের দক্ষতা জবাবদিহিতা কার্যকারিতা ও গতিশীলতা নিশ্চিতকল্পে উদ্দেশ্য ও অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং ওভার নিরিখে দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক মূল্যায়ন এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।


২০। সরকার বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ওহাট প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি কর্মচারী চাকরি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করিয়া হালনাগাদ চাকরিপ্রার্থী বৃত্তান্ত বা ক্ষেত্র চাকরির রেকর্ডপত্র ও কর্মচারী ভিত্তিক ইলেকট্রিক তথ্যভাণ্ডার সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ওভারে সংরক্ষণ করবে।


অষ্টম অধ্যায় বাংলাদেশে চাকরি আইন সরকারি রুলস

 কল্যাণ ও সহায়তা

 কল্যাণমূলক ব্যবস্থা

২২। ১) সরকার বা ক্ষেত্র তম উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সরকারি কর্মচারী ও তার পরিবারের সদস্য গনের কল্যাণে শিক্ষা চিকিৎসা আবাসন ও অনুরূপ অন্যান্য বিষয়ে কর্মকৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করি।

 ব্যাখ্যা এই উপধারা এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পরিবার অর্থ

অ) কর্মচারী পুরুষ হলে তাহারি স্ত্রী স্ত্রীগণ এবং কর্মচারী মহিলা হলে তার স্বামী এবং

আ) কর্মচারীর সহিত একত্রে বসবাসরত এবং তাহার উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল সন্তানগণ পিতামাতা এবং দত্তকপুত্র বিন্দু কর্মচারীদের ক্ষেত্রে নাবালক ভাই এবং অবিবাহিতা তালাকপ্রাপ্ত বিধবা বোন।

২) উপধারা১) এর উদ্দেশ্য পূরণ করবে সরকার সরকারি কর্মচারী গনকে অনুদান সহায়তা সুদ মুক্ত ঋণ ও অগ্রিম প্রদান বা তাদের কল্যাণে স্বাস্থ্য বীমা সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।

৩) সরকারি স্বার্থ রক্ষার্থে কোন কর্মচারী পারিবারিক বা অন্য কোন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তিনি এতদুদ্দেশ্যেসরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাইবার অধিকারী হইবেন।



কল্যাণ তহবিল ভবিষ্যৎ তহবিল ইত্যাদি

২৩।  সরকারি কর্মচারী গণের কল্যাণমূলক ভবিষ্যৎ তহবিল কল্যাণ তহবিল বীমা বা অনুরূপ অন্যান্য বিষয়ে আপাততঃ বলবৎ আইন দ্বারা নির্ধারিত হইবে।


২৪। আইনি সহায়তা

১)কোন কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারি দায়িত্ব পালনে সম্মত সম্পর্কিত কোন বিষয়ে তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী কোরিয়া ক্ষতিপূরণ অবমাননা মানহানি বা অন্য কোনো মামলা বা আইনের ধারা রুজু করা হইলে তিনি সরকারি আইন কর্মকর্তার সহায়তা নিজ দায়িত্বে ও পরিচালনা করিতে পারিবেন এবং উক্ত মামলা পরিচালনায় ব্যর্থ নির্ধারিত পদ্ধতিতে সরকার কর্তৃক প্রদেয় হইবে।

২) দুর্নীতির অভিযোগে অথবা সরকার বা ক্ষেত্র তম উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে কোন কর্মচারীকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী কোরিয়া কোন মামলা বা আইনি ধৈর্য ধরা রুজু করা হইলে উপধারায় 1 এর অধীন অনুরূপ অর্থপ্রদান হইবে না।

৩) সরকারি কর্মচারী দায়িত্ব পালন সম্পর্কিত বিষয় তাহাকে ব্যক্তিগত ভাবে দায়ী করিয়া দায়েরকৃত কোন অভিযোগ মামলা বা আইনি ধারা মিথ্যা প্রমাণিত হইলে উক্ত কর্মচারীর আবেদনক্রমে সরকার বা ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ অনুরোধ মিথ্যা অভিযোগ দায়ের কারী ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।


নবম অধ্যায় বাংলাদেশে চাকরি আইন সরকারি রুলস

 সরকারি সেবা প্রদান নিশ্চিত করুন

নির্ধারিত সময়ে সরকারি সেবা প্রদান

২৫। ১) কোন ব্যক্তি সরকারি কোনো কার্য বা সেবা প্রাপ্তির জন্য আবেদন অনুরোধ করিলে আপাততঃ বলবৎ সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান ও সরকারি আদেশ সাপেক্ষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অথবা যে ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ নাই সেই ক্ষেত্রে যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্য প্রার্থীর সেবা সরবরাহ অনুরূপ আবেদন নিশ্চিত করিতে হইবে।

২) যে ক্ষেত্রে অনুরূপ কোনো আবেদন বা অনুরোধ যুক্তিসঙ্গত কারণে প্রত্যাখ্যান বা নামঞ্জুর করা হয় অথবা নির্ধারিত বা যুক্তিসঙ্গত সময়ে সরবরাহ বা নিষ্পত্তি করা না যায় সেই ক্ষেত্রে ওভার কারণ সেবাপ্রার্থী ব্যক্তি কে অবহিত করতে হইবে।

৩) কোন কর্মচারী ও অভ্যাসগতভাবে এই ধারার বিধান লংঘন করলে গুহা অসদাচারণ অদক্ষতা হিসেবে গণ্য হইবে।


প্রতিকার ও আপীল

২৬।১ ) সেবাপ্রার্থী কোন ব্যক্তির আবেদন নামঞ্জুর বা প্রত্যাখ্যান হলে অথবা নির্ধারিত বা যুক্তিসঙ্গত সময়ে নিষ্পত্তি করা না হইলে তিনি প্রতিকার কারি কর্তৃপক্ষের নিকট উহার প্রতিকার চাহিয়া আবেদন করিতে পারিবেন এবং উক্ত কর্তৃপক্ষ আবেদন বিবেচনা করিয়া যথাপোযুক্ত আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।

২) উপধারা১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তি এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল করিতে পারিবেন এবং উক্ত কর্তৃপক্ষ আপেল বিবেচনা ক্রমে যথোপযুক্ত আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।

৩) কোন ক্ষেত্রে প্রতিকার আপিলের নির্মিত যথাযথ কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত করা না হলে থাকিলে সেবা প্রত্যাশী কর্মচারী আহত কর্তৃপক্ষ অধিকারী কর্তৃপক্ষ এবং প্রতিকার কারি কর্তৃপক্ষের অব্যহতি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আপীল কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিবেচিত হইবে।

৪) যখন আপীল কর্তৃপক্ষ প্রতিকার কতৃপক্ষ মনে করেন যে কোন কর্মচারী পর্যাপ্ত ও যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত নির্ধারিত বা যুক্তিসংগত সময়ে উপধারা৫) এর অধীনে নির্দিষ্টকৃত কোন সরকারি সেবা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছেন তখন উক্ত কর্তৃপক্ষ দায়ী কর্মচারীর নিকট হইতে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করিয়া ওভার সেবা প্রাপ্তি ব্যক্তি কে প্রদানের আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।

৫) সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা যে সকল সেবা প্রদানের ব্যর্থতার ক্ষেত্রে উপধারা ৪ এর অধীন ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ প্রদান করা হইবে ইহা নির্দিষ্ট করিতে পারিবেন।

৬) উপধারা৪) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ দ্বারা কোন কর্মচারী সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল দায়ের অথবা আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিকট পুনঃবিবেচনার আবেদন করিতে পারিবেন।

৭) এই ধারার অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের পদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে এবং যথাসম্ভব প্রতিটি ধাপ নিষ্পত্তির সময়সীমা প্রভাতে নির্দিষ্ট থাকিতে হইবে।


প্রণোদনা পুরষ্কার স্বীকৃতি ইত্যাদি


২৭।সরকার সরকারি সেবা প্রদান নিশ্চিত করণে কর্মচারীগণের বিশেষ সাফল্য উদ্যোগ উদ্ভাবনী অবদানের জন্য প্রয়োজন পুরষ্কার স্বীকৃতি প্রদান করিবার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।


 দশম অধ্যায় বাংলাদেশে চাকরি আইন সরকারি রুলস

 সরকারি কর্মচারীর অনুসরণীয় আচরণ শৃঙ্খলা ইত্যাদি

সরকারি কর্মচারী গণের অনুসরণীয় দ্বিতীয় মানদন্ড প্রণয়ন

২৮।সরকার জনপ্রশাসনের সকল পর্যায়ের সুশাসন নিশ্চিত করবে সরকারি কার্য সম্পাদনের নীতি শুদ্ধাচার চর্চা এবং কর্মচারীগণ কর্তৃক অনুসরণীয় নৈতিকতার মানদন্ড অনুসরণের প্রক্রিয়া ও কৌশল প্রণয়ন করিবেন


নিয়মিত উপস্থিতির ব্যত্যয়ে বেতন কর্তন

২৯।১)কোন কর্মচারী অফিস বা কর্মস্থলে উপস্থিত সংক্রান্ত বিধি-বিধান বা সরকারি আদেশ লঙ্ঘন করলে তজ্জন্যউপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শাও যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া তৎসংক্রান্ত বিধিতে উল্লেখিত বিধান অনুসারে উক্ত কর্মচারীর বেতন কর্তন করিতে পারিবে।

২) উপধারা১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ সংক্ষুব্ধ কর্মচারী অনুরূপ আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিকট পুনঃবিবেচনার আবেদন করিতে পারিবেন

৩) উপধারা২) এর অধীন পুর্নবিবেচনার কোনো আবেদন করা হইলে আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া উপধারা১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ সংশোধন বা বাতিল করিতে অথবা বহাল রাখিতে পারিবেন।


আচরণ ও শৃঙ্খলা

৩০। এই আইনের বিধান বলি সংহতি সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে সরকারি কর্মচারী আচরণ এবং শৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট বিষয় ও শর্তাদি এতদসংশ্লিষ্ট বিধি এবং সরকার কর্তৃক সময় সময় জারিকৃত আদেশ দ্বারা নির্ধারিত হইবে।


বিভাগীয় কার্যালয়

৩১। ১)সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ এতদসংক্রান্ত আপাততঃ বলবৎ আইনে বিধান অনুসরণ ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্য পরিচালনা করিতে পারিবে

২) উপধারা১) এর অধীন রুজুকৃত বিভাগীয় কার্যালয় এবং উহা হইতে উদ্বুদ্ধ আপিল পুনঃবিবেচনা ও পুনঃনিরীক্ষণের পদ্ধতি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ের বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।


দণ্ড

৩২।নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় কার্যালয় দোষী সাব্যস্ত কোন কর্মচারীকে এতদসংক্রান্ত বিধির বিধান সাপেক্ষে নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক লোগো বাকগ্রুন্ড করিতে পারিবে।

 যথা

ক) লঘু দন্ড সমূহ

খ) তিরস্কার

গ।নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করুন

ঘ।  বেতন স্কেলের নিম্ন ধাপে অবনমিতকরন 

ঙ।কোন আইন বা সরকারি আদেশ অমান্য করুন অথবা কর্তব্য ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণে সরকারি অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষতি সংঘটিত হলে যথা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায়।


১ ।গুরুদন্ড সমূহ

ক)নিম্ন পদ বা নিম্নতর বেতন স্কেল অবনমিতকরন

খ)বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান

গ) চাকরি হতে অপসারণ

ঘ) চাকরি থেকে বরখাস্ত


ক্ষতিপূরণ আদায়ের পদ্ধতি

৩৩। ১)ধারা ৩২ এর দফা (ক) এর উপদফা ঈ )উল্লেখিত ক্ষতিপূরণের অর্থ দায়ী কর্মচারীর নিকট হইতে আদায় করিতে পারিবে।

২) দায়ী কর্মচারীর নিকট হইতে উপধারা (১) এর অধীন ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায় করা সম্ভব না হইলে তাহার বেতন-ভাতা বা অন্য কোনো আর্থিক সুবিধা হতে কর্তন পূর্বক আদায় করা যাইবে এবং অনুরূপ ভাবে আদায় করা সম্ভব না হলে  উহা public demands recovery Act 1913 (Bengal Act No lll of 1913 )এর অধীন সরকারি পাওনা হিসেবে আদায়যোগ্য হইবে।


আপিল

৩৪। ধারা ৩২ এর অধীন প্রদত্ত আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ কোন কর্মচারী উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল করিতে পারিবেন এবং আপীল কর্তৃপক্ষ উক্ত আদেশ বহাল রাখতে বাতিল বা পরিবর্তন করিতে পারিবেন।


রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ আপিল যোগ্য নয়

৩৫। ধারা ৩৪ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ধারা ৩২ বা ধারা ৩৩ এর উপর ধারা১) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ এর বিরুদ্ধে আপিল করা যাইবে না


 পুনঃবিবেচনা ( review)

৩৬। ১)রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ধারা ৩২ এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ দ্বারা সংক্ষিপ্ত কর্মচারীর উক্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।

২) রাষ্ট্রপতিরা ১ এর অধীন প্রাপ্ত আবেদন বিবেচনা করে উপযুক্ত মনে করিবেন আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।


পুন:নিরীক্ষণ (rvision)

৩৭।রাষ্ট্রপতি কর্তিক ধারা ৩২ এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ উহা প্রদানে এক বছরের মধ্যে পুনরায় নিরীক্ষক রিয়াজের উপযুক্ত মনে করিবেন সেরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।


বরখাস্তকৃত কর্মচারীর পুনরায় নিয়োগের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা

৩৮। প্রজাতন্ত্রের কর্মে হইতে বরখাস্ত হয়েছে এরূপ কোন ব্যক্তি ভবিষ্যতে প্রজাতন্ত্রের কোন কর্ম বা রাষ্ট্রের অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবে না।


 সাময়িক বরখাস্ত

৩৯।১) কোন কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যালয় গ্রহণের প্রস্তাব বা বিভাগীয় কার্যালয় রুজু করা হইলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অভিযোগের মাত্রা ও প্রকৃতি অভিযুক্ত কর্মচারীকে তাহার দায়িত্ব হইতে বিরত রাখার অজ্ঞতা তদন্তকার্যে প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা ইত্যাদি বিবেচনা করিয়া তাহাকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারবে।

 তবে শর্ত থাকে যে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অধিক সমীচীন মনে করিলে এইরূপ কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত পরিবার পরিবর্তে লিখিত আদেশ দ্বারা তাহার ছুটির প্রাপ্যতা সাপেক্ষে উক্ত আদেশে উল্লেখিত তারিখ হতে ছুটিতে ভ্রমণের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে

২) কোন কর্মচারী দেনার দায়ে কারাগারে আটক থাকলে অথবা কোনও ফৌজদারী মামলায় গ্রেপ্তারি বা তাহার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গৃহীত হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ উক্তরূপ আটক গ্রেপ্তার বা অভিযোগ পত্র গ্রহণের দিন হইতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করিতে পারিবেন।


বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করিবার কারণে চাকরির অবসান

৪০।১) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন কোন সরকারি কর্মচারী বিদেশি কোন রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করিতে পারিবে না

২) কোন কর্মচারীর উপধারা১) এর বিধান লংঘন করিয়া বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করিলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে তার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া তাহার চাকরি অবসানের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে

৩) উপধারা২) এর অধীন আদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে কোন বিভাগীয় কার্যকরী প্রয়োজন হইবে না

৪) উপধারা২) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত হইবে


 

একাদশ অধ্যায় বাংলাদেশে চাকরি আইন সরকারি রুলস

সরকারি কর্মচারীর ফৌজদারি অপরাধ

ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থাদি

৪১।১)কোন সরকারী কর্মচারীর দায়িত্ব পালনে শহীদ সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র গৃহীত হইবে তাহা কে গ্রেপ্তার করিতে হইলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।

২। কোন সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো আদালতে ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনি কার্যধারা বিচারাধীন থাকিলে বিচারাধীন কোন এক বা একাধিক অভিযোগ এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা নিষ্পত্তির ব্যাপারে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকিবে না

৩। যদি বিচারকারী আদালতের গোচরীভূত হয় যে তাহার আদালতে বিচারাধীন কোন মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন সরকারি কর্মচারী তাহা হইলে আদালত অনতিবিলম্বে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী বা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে।


  মামলায় দণ্ডিত কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থা

৪২।১) কোন সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক মৃত্যুদণ্ড বা এক বছরের মেয়েদের অধিক মেয়াদে কারাদণ্ড হইলে উক্ত দ্বন্দ্ব আরবের রায় বা আদেশ প্রদানের তারিখ থেকে চাকরি হইতে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত হইবেন।

২। কোন সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক এক বছরের মেয়েদের কোন কারাদণ্ড অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে নিম্নবর্ণিত যেকোনো আরব করিতে পারিবে।

 যথা

  তিরস্কার

 নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করুন

 বেতন স্কেল অবনমিতকরন  অথবা

 কোন আইন বা সরকারি আদেশ অমান্য অথবা কর্তব্য ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণে সরকারি অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষতি সংঘটিত হলে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায়

৩) উপধারা১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন রাষ্ট্রপতি যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে আদালত কর্তৃক কারাদণ্ডে দণ্ডিত চাকরি হইতে বর্ণিত কোন ব্যক্তি গৌরব বরখাস্ত হইতে অব্যাহতি প্রদানের বিশেষ কারণ বা পরিস্থিতির রহিয়াছে তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেন এবং অনুরূপ আদেশ প্রদান করে করা হইলে উক্ত কর্মচারী চাকরিতে পুনর্বহাল হইবেন।

৪) গুগোল ধরা২) এর অধীন দন্ড আরোপের জন্য নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোন বিভাগীয় কার্যকরী বারবার কারণ দর্শানোর প্রয়োজন হবে না এবং এতদুদ্দেশ্যে প্রদত্ত প্রদত্ত আদেশ আপিল যোগ্য হইবেন।

৫) ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক আরোপিত দণ্ডাদেশ পরিপেক্ষিতে

ক) উপধারা১) এর অধীন বরখাস্তকৃত ব্যক্তি পরবর্তীতে আপিল আদালত কর্তৃক খালাসপ্রাপ্ত হইলে তাহাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করিতে হইবে এবং

 খ) উপধারা ২)এর অধীন দণ্ডিত ব্যক্তি পরবর্তীতে আপিল আদালত কর্তৃক খালাসপ্রাপ্ত হইলে তাহার উপর আরোপিত দণ্ডাদেশ প্রত্যাহার করিতে হইবে।

৬) খালাসপ্রাপ্ত কোন কর্মচারী অবসর গ্রহণের বয়স উপনীত হলে অথবা সংশ্লিষ্ট পদ বা চাকরির বিলুপ্তি ঘটিল তাহাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা যাবে না তবে তিনি সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত আর্থিক সুবিধা প্রাপ্ত হইবেন।


 দ্বাদশ অধ্যায় বাংলাদেশে চাকরি আইন সরকারি রুলস

 অবসর ইত্যাদি

 সরকারি কর্মচারী অবসর গ্রহণ

৪৩। ১)এই আইনে অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে

ক)একজন সরকারি কর্মচারী তাহার বয়স ৫৯ বছর পূর্তিতে এবং

খ) একজন মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কর্মচারী তাহার বয়স ৬০ বছর পূর্তিতে অবসর গ্রহণ  করিবেন।

২) সরকার বা ক্ষেত্র তম উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ উপধারা১) এর দফা খ) এ উল্লেখিত মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারী মুক্তিযোদ্ধা সনদ বা পরিস্থিতি যাচাই করিতে পারিবে।

 তবে করতে পারবে তবে শর্ত থাকে মুক্তি প্রজাতন্ত্র কর্মী নিয়োগ লাভকারী ব্যক্তি এরূপ যাচাই হইতে অব্যাহতি প্রাপ্ত হইবেন।


  ঐচ্ছিক অবসর গ্রহণ

৪৪।১)চাকরির মেয়াদ কাল ২৫ বছর পূর্ণ হইবার পর যেকোনো সময় একজন সরকারি কর্মচারী অবসর গ্রহণের অভিপ্রেত তারিখের অন্যান্য ৩০ দিন পূর্বে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের নিকট চাকরি হইতে অবসর গ্রহণের অভিযোগ লিখিতভাবে ব্যাকটোরিয়া অবসর গ্রহণ করিতে পারিবেন।

২) উপধারা১) এর অধীন ব্যক্ত কিত অভিপ্রায় চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হইবে এবং উহা সংশোধন বা প্রত্যাহার করা যাইবে না।


সরকার কর্তৃক অবসর প্রদান


৪৫। চাকুরীর মেয়াদ কাল ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর যেকোনো সময় সরকার জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় মনে করিলে কোনরূপ কারণ না দশায় তাহাকে চাকরি হইতে অবসর প্রদান করিতে পারিবেন তবে শর্ত থাকে যে যে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ সেই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।


অক্ষমতাজনিত অবসর

৪৬।(১) কোন সরকারি কর্মচারী শারীরিক অবস্থা মানসিক সামর্থ বা বৈকল্য কারণে সরকারি কর্ম সম্পাদনের নিজেকে অক্ষম মনে করিলে চাকরি হইতে অবসর গ্রহণের আবেদন করিতে পারিবে এবং এতদুদ্দেশ্যে গঠিত মেডিকেল বোর্ড স্থায়ীভাবে অক্ষম ঘোষিত হলে সরকার বা ক্ষেত্রে উপযুক্ত তাহাকে অক্ষমতাজনিত কারণে চাকরি হইতে অবসর প্রদান করিতে পারিবেন।

(২) উপধারা ১)যাহা কিছুই থাকুক না কেন সরকারি দায়িত্ব পালনের কারণে কোনো সরকারি কর্মচারী শারীরিক অবস্থা মানসিক সক্ষমতার উদ্বুদ্ধ হলে সরকার বিধি অনুযায়ী যথা উপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ বা সুবিধা প্রদানের বিধান প্রণয়ন করিতে পারিবেন।


 অবসর উত্তর ছুটি

৪৭। কোন সরকারি কর্মচারী চাকরি হইতে অবসর গ্রহণ করিলে তাহার চাকরির অবসান ঘটিয়ে তিনি এতদসংক্রান্ত বিধান ও ষত্ব সাপেক্ষে সর্বোচ্চ 1 বছর পর্যন্ত অবসরোত্তর ছুটি প্রাপ্য হইবেন।


অবসর গ্রহন কারী সরকারি কর্মচারী কে পুনরায় নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা নিষেধ

৪৮। কোন সরকারি কর্মচারী অবসর গ্রহণের পর তাহাকে ধারা 51 এর বিধান অনুসারে ব্যতীত প্রজাতন্ত্রের কর্ম বা রাষ্ট্রের অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো উপায়ে পুনরায় নিয়োগ করা যাইবে না।


 তবে শর্ত থাকে যে সাংবিধানিক কোনো পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হইবে না।


 অবসর গ্রহন কারী সরকারি কর্মচারী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ

৪৯।  রাষ্ট্রপতি জনস্বার্থে কোন কর্মচারীকে চাকরি হইতে অবসর গ্রহণের পর সরকারি চাকরিতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করিতে পারিবেন।

২) উপধারা১) এর অধীন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মচারী অবসর উত্তর থাকলে উক্ত ছুটি স্থগিত থাকবে এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ সমাপ্তির পর অবশিষ্ট অবসরোত্তর ছুটি ও তৎসংশ্লিষ্ট সুবিধা ভোগ করিতে করা যাবে।



 অবসর সুবিধা ইত্যাদি

৫০। (১) সরকারি কর্মচারী অবসর গ্রহণ বা অন্য কোন উপায়ে চাকরির পরিসমাপ্তির ক্ষেত্রে সুবিধাদি প্রাপ্যতা ও অন্যান্য বিষয় এই আইনের বিধানাবলী এবং এর অধীন জারিকৃত আদেশ সাপেক্ষে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।

(২) অবসর সুবিধা সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের মধ্য যথাসম্ভব দ্রুত নিষ্পত্তি করিতে হইবে এবং পর্যাপ্ত ও যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত করিতে ব্যর্থ হইলে তারা সংশ্লিষ্ট কর্মচারী দায়িত্বে অবহেলার হিসেবে গণ্য হইবে।


 অবসর সুবিধা স্থগিত প্রত্যাহার ইত্যাদি

৫১। কোন সরকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থের সংস্পর্শে রহিয়াছে এমন কোন বিচার বিভাগীয় কার জন্য থাকিলে উহার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি ভবিষ্যৎ তহবিল প্রত্যাহার চাঁদা এবং উহার সুদ ব্যতীত অন্য কোন অবসর সুবিধা পাবেন না।

২) উপধারা১) এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী অবসর সুবিধা প্রদত্ত আদেশ সাপেক্ষে হইবে

৩) কোন সরকারী কর্মচারীকে এই আইনের অধীন চাকরি হইতে অপদস্থ করা হলে তিনি ভবিষ্যতে প্রদত্ত তাহার চাঁদা এবং তাহার সুদ ব্যতীত অন্য কোন সুবিধাপ্রাপ্ত হইবেন না

 তবে শর্ত থাকে যে সরকার বিশেষ বিবেচনায় কোন কল্পনা হিসেবে এ সংক্রান্ত বিধি অনুযায়ী অর্থ প্রদান করিতে পারিবেন।

৪) অবসর সুবিধাভোগী কোন ব্যক্তি গুরুতর অপরাধ দণ্ডপ্রাপ্ত গুরুতর অসদাচরণের দোষে দোষী সাব্যস্ত হইবার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া সরকারি কর্তৃপক্ষ তার অবসর সুবিধা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বাতিল স্থগিত বা প্রত্যাহার করিতে পারিবেন।


 অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত

৫২। চাকরি হইতে অবসর গ্রহণের পর ধারা অনুযায়ী অধীন চুক্তিভিত্তিক কর্মরত থাকা ব্যতীত কোন ব্যক্তির বৈদেশিক বা বেসরকারি চাকরি বা কোন প্রকল্পের চাকরি গ্রহণ অন্য কোন পেশা গ্রহণ ব্যবসা পরিচালনা এবং বিদেশযাত্রার জন্য সরকার বা কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহণের প্রয়োজন হইবে না।

 তবে শর্ত থাকে যে সরকার বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কোনো বিশেষ ক্ষেত্রে অনুরূপ ভিন্ন চাকরি বা পেশা গ্রহণ ব্যবসা পরিচালনা বিদেশ যাত্রা ব্যতীত করিয়া উহার ক্ষেত্রে অনুমতি গ্রহণের বাধ্যকতা আরোপ করে আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।


 চাকরি হতে ইস্তফা

৫৩। কোন সরকারি কর্মচারী চাকরিকালীন যেকোনো সময়ে চাকরি হইতে স্বেচ্ছায় সেবা প্রদান করিবার আবেদন করিতে পারিবে যাহা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিষ্পত্তি বা চূড়ান্ত হইবে।


এয়োদশ অধ্যায় বাংলাদেশে চাকরি আইন সরকারি রুলস

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে সেবা গ্রহণ

৫৪।(১) সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে অনুমতি বা নির্দিষ্ট কৃতকর্ম বা পদের বিপরীতে সরকারি করা এবং এতদসংক্রান্ত আপাততঃ বলবৎ কোন আইনের বিধান অনুসরণ করুন আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে সেবা গ্রহণ করা যাইবে।

২) আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে সেবা গ্রহণ কে কোন অর্থের প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বলিয়া গণ্য হইবে না।


সীমাবদ্ধ

৫৫। এই আইনের অন্যান্য বিধান ও আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন ধারা ৫,১৪,১৫,২৯,৪০,৪২ ও ৪৫ এর অধীন প্রদত্ত বা জারিকৃত আদেশ-নির্দেশ অথবা গৃহীত কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কোনো আদালতে প্রশ্ন বা আপত্তি উপস্থাপন করা যাবে না এবং প্রবাহিত বলিয়া বিবেচিত কোন কাজের জন্য সরকার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের বা অন্য কোনো আইনি ধারা রুজু করা যাইবে না।


 কমিশনের পরামর্শ গ্রহণ ও প্রয়োজনীয়তা

৫৬। আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন নিম্নবর্ণিত বিষয়ে কমিশনের সহিত পরামর্শের প্রয়োজন হইবে না যথা


 ধারা ১৪ এর অধীন উদ্দীপ্ত কর্মচারীর আত্মীয় করন

 ধারা ২৯ এর অধীন নিয়মিত উপস্থিতি ব্যত্যয়ে বেতন কর্তন

ধারা ৩২ এর দফা ক  অনুসারে লঘু দন্ড আরব এবং

 ঘ  ধারা অনুযায়ী এর অধীন অবসর গ্রহণকারী কর্মচারীকে প্রজাতন্ত্রের কর্মে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ।


বেতন ভাতা ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়ে প্রদত্ত আদেশ পুনর্বিবেচনা

৫৭। (১) কোন কর্মচারী তাহার বেতন-ভাতা অবসর সুবিধা বা চাকরির অন্য কোন শর্তের বিষয়ে প্রদত্ত কোন আদেশ এর দ্বারা সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিকট পুনঃবিবেচনার আবেদন করিতে পারিবেন।

(২) উপধারা১) কোন কর্মচারী তাহার বেতন-ভাতা অবসর সুবিধা বা চাকরির জন্য কোন সত্যের বিষয়ে প্রদত্ত কোন আদেশ এর দ্বারা সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ নিকট পুনঃবিবেচনার আবেদন করিতে পারিবেন উপধারা ২ এর অধীন পুর্নবিবেচনার আবেদন করা হলে আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ এ-সংক্রান্ত বিধি অনুসরণ করে তাদের সংশোধনী বাতিল করিতে অথবা রাখিতে পারিবেন।

(৩) এই ধারার অধীন পুনঃবিবেচনার আবেদন দাখিলের পদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।


 বেতন ভাতা ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়ে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল

৫৮। কোন কর্মচারী তাহার বেতন-ভাতা অবসর সুবিধা বা চাকরির জন্য কোন শর্তে বিষয়ক প্রদত্ত কোন আদেশ এর দ্বারা সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল করিতে পারিবেন।


 তবে শর্ত থাকে যে ধারা ৫৫ এ উল্লেখিত ধারা সমূহের অথবা প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে এবং যে সকল বিষয় এই আইনে অন্যত্র আপিল দায়েরের বিধান রয়েছে সে সমস্ত ক্ষেত্রে এই ধারার অধীন এপ্রিল দায়ের করা যাইবে না।

২) যে ক্ষেত্রে উপধারা একে উল্লেখিত আপীল কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত নাই সে ক্ষেত্রে আদেশ প্রদান কারী কর্তৃপক্ষের পরবর্তী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল দায়ের করা যায়

৩) ১ এর অধীন কোনো আপিল দায়ের করা হইলে আপীল কর্তৃপক্ষ এ-সংক্রান্ত বিধি অনুসরণ ক্রমে যথোপযুক্ত আদেশ প্রদান করিতে পারিবে

৪) এই ধারার  অধীন আপিল দায়েরের পদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।


 বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

৫৯।১)এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

২) উপধারা১) এর অধীন কোন বিধি প্রণীত হইবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত বিষয়ে সম্পর্কিত সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের শতাংশে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বা অন্য কোন আইনের অধীনে প্রণীত আপাততঃ বলবৎ বিধি বা আদেশের কার্যকরতা রহিত হইবে

৩)  এই আইন এবং আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন বা আইনের বিধান সাপেক্ষে প্রজাতন্ত্রের কর্মে কর্মচারীগণের নিয়োগ ও কর্মের সত্য সম্পর্কে rules of Business 1996 এর অধীন ব্যবস্থা গ্রহণ অথবা সরকারি আদেশ জারি করিবার সরকারি একটি আর যথারীতি অক্ষুন্ন থাকবে।


 অসুবিধা দূরীকরণ

৬০। এই আইনের কোনো বিধান বাস্তবায়ন করিবার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা উত্তর বা কোন বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান অবশ্যক হইলে উপরোক্ত অসুবিধা দূরীকরণ বা ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে সরকার এই আইনের সংশ্লিষ্ট বিধানের সংস রক্ষা করিয়া সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করিতে পারিবেন।
























Previous Post
Next Post
Related Posts