ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ইতিহাস ২০২৩

 


ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ইতিহাস ২০২৩ 

আজ ২রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ শুভ উদ্বোধন হতে চলেছে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের। যানজট মুক্ত যান চলাচলের জন্য যুগোপযুগি উদ্দ্যেগ গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপের এই অংশের শুভ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ফার্মগেট অংশ থেকে এবং প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল প্রদান করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে তে প্রথম এই পথে চলবেন। মাত্র ১০ মিনিটেই বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট যাওয়া আসা করতে পারবেন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে। যানবাহনের ভিন্নতা অনুসারে ৮০ থেকে ৪০০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে । ৩রা সেপ্টেম্বর সকাল ৬ টা থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হতে তেজগাঁও যা পরবর্তীতে চট্টগ্রামের কুতুবখালী পর্যন্ত হতে চলেছে।

১। প্রকল্পের নাম: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্প

২। প্রকল্পের রুট: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দক্ষিণে কাওলা - কুড়িল - বনানী - মহাখালী - তেজগাঁও - মগবাজার - কমলাপুর - সায়েদাবাদ - যাত্রাবাড়ি - ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী)

৩। অর্থনৈতিক প্রভাব: প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে এবং ভ্রমনের সময় ও খরচ হ্রাস পাবে। সার্বিকভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার সহজিকরণ, আধুনিকায়ন হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।

৪। জিডিপিতে ইতিবাচক প্রভাব: প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জিডিপিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

৫। বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান: First Dhaka Elevated Expressway (FDEE) Company Ltd.  Shareholders: Italian Thai Development Public Company Ltd. (Thailand) - 51%, China Shandong International Economic and Technical Co-operation Group (CSI)-34%
Sinohydro Corporation Ltd - 15%

৬। চুক্তি স্বাক্ষর: ১৯ জানুয়ারি, ২০১১

৭। সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষর: ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩

৮। প্রকল্পের মেয়াদ: জুলাই ২০১১ জুন ২০২৪

৯। প্রাক্কলিত ব্যয়: ৮ হাজার ৯ শত ৪০ কোটি টাকা

১০। Viability Gap Funding (VGF) ২ হাজার ৪ শত ১৩ কোটি টাকা (প্রাক্কলিত ব্যয়ের ২৭%) যা বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।

১১। বিনিয়োগকারী আর্থিক সংস্থান: বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ৩০ মার্চ ২০১৯ তারিখে  China Exim Bank (EXIM) এর সাথে ৪ শত ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও Industrial & Commercial Bank of China (ICBC) এর সাথে ডলারের ঋণ চুক্তি করেন। ইতিমধ্যে মোট ৩৮২.৭১ মিলিয়ন ইউএস ডলার ছাড় হয়েছে।

১২। প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বর্ণণা: মূল এলিভেটেড অংশের দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কি.মি প্রকল্পে উঠা নামার জন্য মোট ৩১ টি র‌্যাম্প রয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কি.মি।

১৩।প্রকল্পের ধাপ: 

১ম ধাপ - হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দক্ষিণে কাওলা হতে বনানি রেল স্টেশন পর্যন্ত (চে.০+০০০মি হতে চে-৭+৪৫০ মি:) যার দৈর্ধ্যে ৭.৪৫ কি: মি:।

২য় ধাপ - বনানি রেল স্টেশন হতে মগবাজার রেল ক্রসিং পর্যন্ত (চে- ৭+৪৫০ মি: হতে চে- ১৩+৩০০ মি:) যার দৈর্ঘ্য ৫.৮৫ কি: মি: ।

৩য় ধাপ: মগবাজার রেল ক্রসিং হতে ঢাকা চট্টগ্রাম মহসড়ক (কুতুবখালী ) পর্যন্ত (চে- ১৩+৩০০ মি: হতে চে- ১৯+৭৩০ মি:) যার দৈর্ঘ্যে অবশিষ্টাংশ।

১৪। কাজ শুরুর তারিখ: ০১ জানুয়ারি ২০২০।

১৫। কাজ সমাপ্তির তারিখ ৩০ জুন ২০২৪।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ কি?
নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য ঢাকার বাইরে গাজীপুরের দিক থেকে উত্তরব্গ থেকে যে গাড়িগুলো ঢাকাতে আসে বা বিভিন্ন জেলাতে যায় সে গাড়িগুলোকে ঢাকাকে বাইপাস করে চলে যেতে পারে ।

Previous Post
Next Post
Related Posts