পবিত্র মাহে রমজানের পর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজার ফজিলত


পবিত্র মাহে রমজানের পর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজার ফজিলত


  • শাওয়াল মাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল কয়টি রোজা- ছয়টি রোজা রাখা
  • ৩০ টি রোজার বিনিময়ে কতটি রোজার সওয়াব লাভ করবে- ৩০০ টি
  • আরও ৬ রোজার বিনিময়ে - ৬০ টি রোজার সওয়াব লাভ করবে
  • আরবি বছর কত দিনে পূর্ণ হয়- ৩৬০ দিনে পূর্ণ হয় হিজরি সালের গণনা অনুযায়ী 


পবিত্র মাহে রমজানের সিঁড়ি বেয়ে প্রতি বছর আমাদের মাঝে আগমন করে মহিমান্বিত মাস শাওয়াল। এ মাসের প্রথম দিন হলো মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের দিন ‘ঈদুল ফিতর’। সংগত কারণেই মুসলমানদের কাছে এ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। শাওয়াল মাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো ছয়টি রোজা রাখা। রসুলুল্লাহ (সা:) নিজে এ ছয়টি রোজা রাখতেন এবং সাহাবায়ে কেরামদেরও রাখার জন্য উৎসাহিত করতেন । হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রা:) থেকে বর্ণিত , রসুলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেন, যে ব্যাক্তি রমজানের রোজা রাখল অতঃপর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখল সে যেন সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব লাভ করবে। 

মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআন মজিদের সূরা আনআমের ১৬০ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেন, যে ব্যাক্তি একটি সওয়াবের কাজ করবে সে ১০ গুণ বেশি সওয়াব লাভ করবে। সে হিসাব অনুযায়ী রমজানের ৩০ টি রোজার বিনিময়ে ৩০০ টি রোজার সওয়াব লাভ করবে আর শাওয়াল মাসের ৬ রোজার বিনিময়ে আরও ৬০ টি রোজার সওয়াব লাভ করবে। সুতরাং রমজানের ৩০ ও শাওয়াল মাসের ৬ রোজা মোট ৩৬ রোজার বিনিময়ে ৩৬০ টি রোজার সওয়াব লাভ করবে। অর্থাৎ এক বছরের রোজার সওয়াব লাভ করা হবে। কেননা, আরবি বছর ৩৬০ দিনে পূর্ণ হয় হিজরি সালের গণনা অনুযায়ী।  

হজরত উবাইদুল্লাহ (রা:) বলেন, আমি একদিন রসুলুল্লাহ (সা:) কে জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহর রাসুল! আমি কি সারা বছর রোজা রাখতে পারব? তিনি বললেন, তোমার উপর তোমার পরিবারের হক রয়েছে। কাজেই তুমি সারা বছর রোজা না রেখে রমজান মাসে ৩০ টি রোজা রাখো ও শাওয়াল মাসে ৬ টি রোজা রাখো তাহলেই তুমি সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব লাভ করবে। (তিরমিজি)

শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখার মধ্যে আরো দুটি বিশেষ ফায়দা রয়েছে। যথাঃ 

১। রমজান মাসে রোজা পালনের ক্ষেত্রে কোন প্রকার কমতি হয়ে থাকলে, এ ছয়টি রোজার মাধ্যমে তার ক্ষতিপূরণ আদায় হয়ে যায়। ২। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের মাহে রমজানের রোজা, সাহরি, তারাবি, ইফতারিসহ বিভিন্ন নেক আমল করার তৌফিক দান করেছেন। শাওয়াল মাসের এ ছয় রোজার মাধ্যমে আমাদের শুকরিয়া আদায় করা হয়। তবে যাদের কোনো ওজরের কারণে রমজান মাসের রোজা কাজা হয়ে গেছে, তাদের শাওয়ালের রোজার সওয়াব পেতে রমজানের সে কাজা রোজা আগে করে নিতে হয়।  





Previous Post
Next Post
Related Posts