প্রথম সূর্যগ্রহণ হতে চলছে পৃথিবীতে অন্ধকারে ঢেকে যাবে ইতিহাস

 


২০২৪ বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ

  • সূর্য গ্রহণের সময় রকেট পাঠাবে- নাসা
  • ২০২৪ বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ হতে চলছে পৃথিবীতে- ৮ই এপ্রিল, ২০২৪
  • অন্ধকারে ঢেকে যাবে- যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডার বিভিন্ন অঞ্চল অন্ধকারে ঢেকে যাবে

ইতিহাস

আজ ৮ই এপ্রিল, ২০২৪ বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ Solar eclipse হতে চলছে পৃথিবীতে। সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে দিবে চাঁদ। ফলে, কিছু সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডার বিভিন্ন অঞ্চল অন্ধকারে ঢেকে যাবে। এ সময় আকাশে বিশেষ রকেট উৎক্ষেপণ করবে মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসা। নাসার ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় তারা চাঁদের ছায়ায় ৩টি সাউন্ডিং রকেট পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। যা গবেষণার লক্ষ্যে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি বহনকারি রকেট। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আজ ৮ই এপ্রিল, যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডার বিভিন্ন অংশে প্রায় ১১৫ মাইল-প্রশস্ত এলাকা জুড়ে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ Solar eclipse দেখা যাবে। এছাড়া, পুরো আমেরিকা মহাদেশ থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। সূর্যগ্রহণের সময় আলো ও তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ার ফলে বায়ুমন্ডলের আয়োনস্ফিয়ার কীভাবে প্রভাবিত হয় তা পরীক্ষা করা হবে রকেটগুলোর মাধ্যমে। আয়োনস্ফিয়ার হলে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের বাইরের স্তর যা বায়ুমন্ডলীয় গ্যাসে ভরা। রকেটগুলো সূর্যগ্রহণের সময় তৈরি হওয়া আয়োনস্ফিয়ারের ব্যাঘাতগুলো অধ্যয়ণ করবে। অ্যাটমোসফিয়ারিক পারটার্বেশনস অ্যারাউন্ড ইক্লিপস পাথ (এপিইপি) নামে সাউন্ডিং রকেটগুলো ভার্জিনিয়ার ওয়ালপস দ্বীপে অবস্থিত নাসার রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে পাঠানো হবে। তিনটি রকেট একসঙ্গে উৎক্ষেপণ করা হবে না। 

ওয়ালপস দ্বীপ থেকে সর্বোচ্চ ৮১ শতাংশ পর্যন্ত সূর্যগ্রহণ Solar eclipse দেখা যাবে, সেই মূহুর্তটি হবে বিকেল ৩ টা ৩৩ মিনিট। সূর্যগ্রহণ Solar eclipse শুরু হবে ৪ টা ৬ মিনিটে আর শেষ হবে ৪ টা ৩৩ মিনিটে। সূর্যগ্রহণ শুরু হওয়ার ৪৫ মিনিট আগে প্রথম রকেটটি লঞ্চ করা হবে। মাঝামাঝি সময়ে দ্বিতীয়টি ও গ্রহণ শেষ হওয়ার ৪৫ মিনিট আগে পাঠানো হবে তৃতীয় রকেটটি। তিনটি রকেট আয়োনস্ফিয়ারের তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে। মিশনটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফ্লোরিডার এমব্রি-রিডল অ্যারোনটিক্যাল ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং ফিজিক্সের অধ্যাপর আরোহ বরজাতিয়া। তিনি জানান, এ রকেট উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্য হলো সূর্য গ্রহণের সময় চারটি ছোট বৈজ্ঞানিক যন্ত্রের সাহায্যে বৈদ্যুতিক ও চুম্বকীয় ক্ষেত্র ঘনত্ব ও তাপমাত্রার পরিবর্তনগুলো পরীক্ষা করার মাধ্যমে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের পরিবর্তন বোঝা। 

তিনি বলেন আয়োনস্ফিয়ার একটি বিদ্যুতায়িত অঞ্চল যা রেডিও সংকেতগুলোকে প্রতিফলিত করে এবং সংকেতগুলোর প্রতিসরণও ঘটায়। সংকেতগুলো এর মধ্য দিয়ে চলাচলের সময় স্যাটেলাইট যোগাযোগও প্রভাবিত হয়। এর আগে ২০২৩ সালে ১৪ই অক্টোবর সূর্যগ্রহণের সময় একইভাবে আয়েনস্ফিয়ারে তিনটি রকেট পাঠানো হয়েছিল। সেইবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডস মিসাইল রেঞ্জ থেকে রকেটগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়। সেসময় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিগুলো সফলভাবে ফিরিয়ে আনা হয়। সেগুলোই মেরামত করে আরো বায়ুমন্ডলে পাঠানো হবে।  





Previous Post
Next Post
Related Posts