কোয়েজার ! সূর্যের চেয়ে ৫০০ গুণ বেশি উজ্জ্বল ! Quasar ! 500 time brighter than the Sun !


কোয়েজার ! সূর্যের চেয়ে ৫০০ গুণ বেশি উজ্জ্বল ! Quasar ! 500 time brighter than the Sun !

সূর্যের চেয়ে ৫০০ গুণ বেশি উজ্জ্বল কোয়েজার। মহাবিশ্বের সবচেয়ে ঝলমলে বস্তুটি আসলে একটি কোয়েজার, যা আমাদের সূর্যের চেয়ে ৫০০ ‍গুণ বেশি উজ্জ্বল। কিন্তু অনেক দূরে থাকায় খালি চোখে এটিকে আমরা দেখতে পাই না। প্রথববারের মতো অস্ট্রেলীয় বিজ্ঞানীরা এত শক্তিশালী এ কোয়েজার আবিস্কার করেছেন, যার কেন্দ্রে রয়েছে সর্বগ্রাসী কৃষ্ণগহব্বর। এ কোয়েজারের ভর আমাদের সৌরজগতের একমাত্র নক্ষত্র সূর্য হতে ১ হাজার ৭০০ কোটি গুণ বেশি। প্রতিদিন এটি সূর্যের আকারের সমান বস্তু ভক্ষণ করে। কিন্তু অনেক দূরে হওয়ায় আমরা এটিকে দেখতে পাই না। এ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত আলো আসতে ১ হাজার ২০০ কোটি বছরের বেশি সময় লাগে। গ্যালাক্সির উজ্জ্বল কেন্দ্র বা কোয়েজারটি ২ দশমিক ৩ মিটার টেলিস্কোপ ব্যবহার করে অস্ট্রেলিয়ার কোনাবারাব্র্যান থেকে প্রথম দেখতে পান অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এএনইউর) বিজ্ঞানীরা। পরে ইউরোপীয়ান সাউদার্ণ অবজারভেটরির (ইউএসও) বৃহৎ টেলিস্কোপে আবিস্কারের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

  • কোয়েজার সূর্যের চেয়ে ৫০০ গুণ বেশি উজ্জ্বল
  • কোয়েজা প্রতিদিন সূর্যের আকারের সমান বস্তু ভক্ষণ করে 
  • কোয়েজারের ভর সৌরজগতের একমাত্র নক্ষত্র সূর্য হতে ১ হাজার ৭০০ কোটি গুণ বেশি
  • কোয়েজারের থেকে পৃথিবী পর্যন্ত আলো আসতে ১ হাজার ২০০ কোটি বছর সময় লাগে
  • প্রথম দেখতে পান অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এএনইউর) বিজ্ঞানীরা
  • অস্ট্রেলিয়ার কোনাবারাব্র্যান থেকে প্রথম দেখতে পান
  • ঘূর্ণায়নকালে বস্তুর সাথে আরেকটি বস্তুর সংঘর্ষ ঘটায় আলো ও তাপ উৎপন্ন হয়
  • ৮ মিটার প্রশস্ত  টেলিস্কোপের প্রাথমিক আয়নাই অন্তত

এ টেলিস্কোপের প্রাথমিক আয়নাই অন্তত ৮ মিটার প্রশস্ত। ইউএসও, মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটি, ফ্রান্সের সরবোন ইউনিভার্সিটির সঙ্গে এএনইউর বিজ্ঞানীদের এ আবিস্কার নিয়ে নিবন্ধ নেচার অস্ট্রোনমি সাময়িকীতে প্রকাশ হয়েছে। নিবন্ধের প্রধান লেখক এএনইউর  সহকারী অধ্যাপক খ্রিষ্টিয়ান উলফ বলেন, জ্ঞাত অনুসারে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তু; প্রতি মুহূর্তে এ কোয়েজার ব্যাপক আলো ও তাপ নির্গমন করছে। কোয়োজারটির আলো বিচ্ছুরিত করছে চাকতি মতো অঞ্চল থেকে, যার ব্যাস সাত আলোকবর্ষ পর্যন্ত। এ চাকতির ভিতরেই বস্তুগুলো কৃষ্ণগহব্বরের চারদিকে ঘুরতে থাকে। ইভেন্ট হরাইজম (কৃষ্ণগহব্বরের সীমানা এলাকা) অতিক্রম করলেই বস্তুগুলো গহব্বরে হারিয়ে যায়। ঘূর্ণায়নকালে একটি বস্তুর সাথে আরেকটি বস্তুর সংঘর্ষ ঘটায় বিপুল পরিমাণে আলো ও তাপ উৎপন্ন হয়। 

খ্রিস্টিয়ান উলফ বলেন, এটি একটি সুবৃহৎ ঝড়ো ক্ষেত্র। যেখানে তাপমাত্রা ১০ হাজার ডিগ্রী সেলসিয়াস; চারপাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে এবং দ্রুতগতিতে বাতাস বইছে যে, তা পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে সময় নেবে মাত্র ১ সেকেন্ড। তিনি বলেন এ আলোকবর্ষের ব্যাস সাত আলোকবর্ষব্যাপী যা আমাদের সৌরজগত থেকে পার্শ্ববর্তী গ্যালাক্সি আলফা সেঞ্চুরিতে থাকা সবচেয়ে কাছের নক্ষত্রের দুরত্বের চেয়েও ৫০ শতাংশ বেশি। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তু। তবে এর রেকর্ড যে চিরকাল বেঁচে থাকবে এমন নিশ্চয়তা তিনি দিতে পারছেন না। (টেকনোলোজি ডেস্ক)  


Previous Post
Next Post
Related Posts