জিডি করার নিয়ম / সাধারণ ডায়েরি করার নিয়ম জেনে নিন কিভাবে অনলাইনে / অফলাইনে জিডি করবেন বা সাধারণ ডায়েরি করবেন

 


জিডি করার নিয়ম /  সাধারণ ডায়েরি করার নিয়ম

বাংলাদেশ সরকারি রুলস সরকারি নিয়ম অনুযায়ী 

জেনে নিন কিভাবে অনলাইনে / অফলাইনে জিডি করবেন বা সাধারণ ডায়েরি করবেন।


জিডি শব্দটি জেনারেল ডায়েরি সংক্ষিপ্ত রূপকে ২৪ ঘন্টার খবর রেকর্ড করা হয়। প্রতিদিন সকাল আটটায় ডাইরি খুলে পরের দিন সকাল আটটায় বন্ধ করা হয় অর্থাৎ কার্যরত এটি কখনোই বন্ধ হয় না। এই ডায়েরিতে থানার বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন আসামী কোর্টে চালান দেওয়া, এলাকার বিভিন্ন থানায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আগমন ও প্রস্থানের তথ্য লিপিবদ্ধ থাকে।


সাধারণ মানুষের কাছে জিডির গুরুত্ব / সাধারণ ডায়েরি গুরুত্ব

সাধারণ মানুষের কাছে জিডির গুরুত্ব ভিন্ন কোন থানায় মামলা যোগ্য নয় এমন ঘটনা ঘটলেও মানুষের থানায় জিডি করে থাকেন আবার কাউকে ভয় ভীতি দেখানো হলে বা অন্য কোনো কারণে যদি তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন কিংবা কোন ধরনের অপরাধের আশঙ্কা করেন তাহলে তিনি জিডি করতে পারেন। জিডি করার পর পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। প্রয়োজনবোধে তদন্ত করা নিরাপত্তা দেয়া ছাড়াও বিষয়টি মামলাযোগ্য হলে পুলিশ মামলা করে থাকে আইনগত সহায়তা পাওয়ার জন্য অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে অনেক সময় আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত করা হয়।


জিডি করা/সাধারণ ডায়েরি করা

জিডি বা সাধারণ ডায়েরি করার ফরম

থানার ডিউটি অফিসার জিডি নথিভূক্ত করবেন, এক্ষেত্রে তিনি একটি ডাইরিতে নম্বর সহ বিভিন্ন তথ্য লিপিবদ্ধ করেন। জিডি কপির একটি থানায় সংরক্ষণ করা হয় এবং অন্যটি নম্বর লিখে প্রয়োজনীয় সাক্ষর দেওয়া হয়। এটি ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করতে হয়। অভিযোগকারী নিজে লিখতে পারেন আবার প্রয়োজনে থানায় কর্মকর্তা লিখে দিয়ে থাকে। প্রতিটি জিডিতে একটি নম্বর দেওয়া হয় ফলে কোন অবৈধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কেউ আগের তারিখ দেখিয়ে জিডি করতে পারবেন না।



অনলাইন জিডি/সাধারণ ডায়েরি


বিশেষ নির্দেশিকা :

  • আপনার চুরি হওয়া, হারানো ও প্রাপ্তি সংক্রান্ত জানমালের বিষয়সহ যে কোন বিষয়ে পুলিশের নিকট অভিযোগ করতে এই ওয়েব সাইট ব্যবহার করুন।।
  • সংশ্লিষ্ট থানা হতে আপনার অভিযোগের ধরন অনুসারে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে এবং আপনাকে অবগত করা হবে।
  • অভিযোগের বিষয়টি যদি জিডির যোগ্য হয় তাহলে সেটি জিডি নং এবং তদন্তকারী অফিসারের বিবরণীসহ আপনাকে ডিজিটাল জিডির কপি প্রেরন করা হবে।
  • অভিযোগের বিষয়টি যদি মামলার যোগ্য (আমলযোগ্য অপরাধ) হয় সেক্ষেত্রে অভিযোগের প্রিন্ট কপি অথবা অভিযোগের কোড নং সহ আপনাকে থানায় উপস্থিত থাকতে হবে।

অভিযোগ করার জন্য যা প্রয়োজন :

  • আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর অথবা জন্মসনদপত্র নম্বর অথবা পাসপোর্ট নম্বর।
  • আপনার সচল মোবাইল।
  • আপনার লাইভ ছবি।

লষ্ট এন্ড ফাউন্ড অ্যাপস্‌ এবং ওয়েব পোর্টালের সুবিধা সমূহ :

  • খুব সহজে আপনার অভিযোগটি পুলিশকে জানাতে পারবেন।
  • আপনার অভিযোগের সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন।
  • আপনার অভিযোগের তদন্তকারী অফিসারের সহিত অনলাইনে যোগাযোগ করতে পারবেন।
  • অনলাইনে আপনার অভিযোগ (জিডি) কপি ডাউনলোডসহ ডিজিটাল কপি কাউকে প্রেরন করতে পারবেন।
  • লষ্ট ও ফাউণ্ড ডাটাবেজে যেকোন জানমালের বিবরন দিয়ে সার্চ করতে পারবেন।


আবার পুলিশের তাৎক্ষনিক সাড়া দেয়ার প্রয়োজন নেই এমন ক্ষেত্রে যেমন পাসপোর্ট হারানো, বখাটে বা মাদক সেবীদের সম্পর্কে তথ্য প্রদান বা এ জাতীয় ক্ষেত্রে অনলাইনে জিডি করা যেতে পারে বা সরাসরি পুলিশ সদরদপ্তরের ইমেইল করতে পারেন। এ পদ্ধতিতে দেশের বাইরে থেকেও জিডি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে অনলাইনে জিডি করার পর ইমেইলে বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জিডি নম্বরটি লিখে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ।

অনলাইনে জিডি করার জন্য http://gd.police.gov.bd/


ইমেইল নাম্বার: lost.found@police.gov.bd


ফ্যাক্স নম্বর: +৮৮০০-০১৭৫৫৬৬০৬২২

Citizens help request- সাইটে এ ক্লিক করতে হবে।


হারানো বিষয়ের জিডি/সাধারণ ডায়েরি


মোবাইল ফোনের সিম, পরীক্ষার সার্টিফিকেট, জমির দলিলপ্রভৃতি হারিয়ে গেলে ঐ সব কাগজপত্র পুনরায় তুলতে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হারানোর সংবাদের ডিটিএইচ এ থাকে। তাই এই সব ক্ষেত্রে হারানোর সংবাদের জিডি করেছে যেটি নম্বর সহ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হয়।

বাংলাদেশ পুলিশের আরও কিছু সেবা সম্পর্কে জানুন



জিডির নমুনা/সাধারণ ডায়েরি


 বরাবর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

…………... থানা

 ঢাকা

বিষয় এসএসসি সার্টিফিকেট হারানো সংবাদ ডায়েরীভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন।

 

মহোদয়

 আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী আপনার থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে জানাচ্ছি যে আমার এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট আজ সকাল এগারোটার সময় ঢাকা কলেজের পাশে রাস্তায় একটি ফটোকপির দোকানে ফটোকপি করার সময় হারিয়ে গেছে।


এমত অবস্থায় হারানোর বিষয়টি ডায়েরি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।


পরীক্ষার্থীর নাম শিক্ষাবর্ষের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার রোল নাম্বার দাখিল কার্ডের নাম ঠিকানা ফোন নাম্বার।


 অনলাইনে জিডি


 আইনি সেবা হিতে বিপরীত হয়


ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপি সর্ব আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির নতুন একটি পরিষেবা চালু করেছে। রাজধানীতে পুলিশ ও বন্ধু আমার শীর্ষ একটি প্রকল্পের আওতায় এখন থেকে ঘরে বসেই অনলাইনে জিডি বা সাধারণ ডায়েরি করা যাবে। ঢাকা থানাগুলোতে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। সহজে কেউ থানা পুলিশের দ্বারস্থ হতে চায় না তাছাড়া অনেক ক্ষেত্রে সময় ও দূরত্ব একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় পুলিশের সাহায্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে। সে ক্ষেত্রে অনলাইনে থানা পুলিশের পরিষেবা পাওয়া বিষয়টা আধুনিক ঝামেলামুক্ত। সর্বোপরি মেঘ না চাইতে জল এর মত ঘরে বসেই প্রাপ্তি সেবা দুমাস আগে পরীক্ষামূলকভাবে উত্তরা থানায় কার্যক্রম চালু হলেও ইতিবাচক অভিজ্ঞতার আলোকে এর সুযোগ সুবিধা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে তবে আপাতত পাসপোর্ট সনদপত্র পরিচয় পত্র চেক বই হারানো ছোটখাটো ছিনতাই, গৃহকর্মীদের পালিয়ে যাওয়া, ভাড়াটিয়া সংক্রান্ত তথ্য, প্রবাসীদের সমস্যা ইত্যাদি বিষয়ে জিডি করা যাবে বলে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ ও বলেছে খুব জরুরী নয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশি সহায়তা প্রয়োজন নেই। আপাতত অনলাইনে এ ধরনের বিষয়ে জিডি করা যাবে। তাৎক্ষণিক পুলিশি সহায়তা প্রয়োজন হলে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে ফোনে অথবা সহযোগে থানার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রাজধানীর প্রতিটি থানায় দৈনিক গড়ে প্রায় দেড় হাজার সাধারণ ডায়েরি জিডি করা হয়। এর মধ্যে ব্যস্ততম থানাগুলোতে কোনদিন সাধারণ ডায়েরি সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় অনলাইন পদ্ধতিতে থানাগুলোতে হাতে লেখা সাধারণ ডায়েরি পদ্ধতি চালু থাকবে প্রতিদিন সাধারণ মানুষ হারানোর সংক্রান্ত কারণ ছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করে থাকেন এছাড়া অস্ত্র জমা দেওয়া নেওয়া সংক্রান্ত থানায় জিডি এন্ট্রি হয়ে থাকে এসব সাধারণ কাজে হাতের লেখা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং মামলার মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারনা না থাকলেও আইনগত জটিলতা বাড়তে পারে। এ ব্যাপারে ধানমন্ডি থানার ওসি শাহ আলম জানান প্রতিটি সম্পর্কের বিষয়টি জনগণকে সচেতন করে তুলতে পারলেন কোন অসুবিধা হবে না সাধারণ ডায়েরি তদন্ত কর্মকর্তাকে দেয়া হবে।


সে বিষয়টি মূলত প্রতিদিন রাতে নির্ধারণ করা হয় অনলাইনে জিডি তদন্তকারী ওড়াতে নির্ধারণ করা হবে রমনা জোনের ডিসি কৃষ্ণচন্দ্র রায় জানায় যে সব থানায় কম্পিউটার নিয়ে যেসব খান এর জুনাল উপ-পুলিশ কমিশনার সহকারী পুলিশ কমিশনার কে তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করেছে কেউ এমন মন্তব্য করেন অনলাইনে সাধারন মানুষের জন্য এ ব্যবস্থা উন্মুক্ত করে দেয়ার সাধারণ ডায়েরি যথেষ্ট ব্যবহার হচ্ছে আর তদন্ত করতে গিয়ে বাড়তি ঝামেলা করিস পড়বে তবে এ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার একেএম শহীদুল হক জানান প্রথমদিকে কিছুটা সমস্যা হলো ধীরে ধীরে তা কেটে যাবে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন বিএনপির হেডকোয়ার্টার ডিসি হাবিবুর রহমান জানান মূলত ডিজিটাল বাংলাদেশ সাধারণ কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং নথিপত্রসহ যেকোনো কাজ দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করা এবং ব্যবস্থা গ্রহণের অন্যতম উদ্দেশ্য অনলাইনে জিডি ক্ষেত্রের ধৈর্য ও সহিংসতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রতিটি থানা পুলিশকে একই সঙ্গে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে কেউ যেন কাউকে ব্ল্যাকমেইল অথবা সামাজিক পারিবারিকভাবে ও হয়রানি করতে না পারে সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। যে ব্যক্তি যিনি করবে অবশ্যই তার নাম ঠিকানা তথা বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা সহ প্রয়োজনে জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর দিতে হবে মোটকথা এই আইনে আবার সুযোগ যেন হিতে-বিপরীত না হয়ে দাঁড়ায় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই তথ্য প্রযুক্তি রাজধানীসহ দেশের সব থানার পুলিশের কার্যালয় কে অপটিক ফাইবার নেটওয়ার্কের আওতায় আনা গেলে সার্বিকভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির উপকৃত হবে। তবে অনলাইনে জিডি করতে হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়েবসাইট http://www.police.gov.bd প্রবেশ করলে citizen help request নামে একটি লিঙ্ক পাওয়া যাবে লিংকটিতে ক্লিক করে অনলাইনে জিডি সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করা তালিকা আসবে যে ধরনের তথ্য দিয়ে জিডি করতে চান তা নির্বাচন করতে হবে এবার তথ্য পূরণ করা খালি বক্স আসবে তথ্যবলি যথাযথ পূরণ করে বাটন চাপলে সংশ্লিষ্ট থানায় পৌঁছে যাবে আপনার তথ্য আপনি এভাবে একটি সনাক্তকরণ নাম্বার পাবেন নাম্বার টি সংগ্রহ করুন। আপনার সাধারণ ডায়েরি বা জিডিপিতে পরবর্তী সময়ে নাম্বারটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করুন। চাইলে আপনার কোন মতামত নিয়ে সরাসরি পুলিশের এই ওয়েবসাইটে Bangladeshpolice.gov.bd মেইল পাঠাতে পারেন। 

Previous Post
Next Post
Related Posts