টিন বাতিলের নিয়ম ,টিন বাতিল করতে প্রয়োজন কেন?টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য আবেদন করার নমুনা।



 টিন বাতিলের নিয়ম ,টিন বাতিল করতে প্রয়োজন কেন?টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য আবেদন করার নমুনা।

TIN Certificate Cancellation Rules 

টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে আবেদন করবেন যেভাবে:

প্রয়োজনে যদি কেউ টিন TIN খুলে থাকেন কর যোগ্য আয় নেই কিন্তু সামান্য প্রয়োজনে টিন খুলে রাখেন,  নূন্যতম ২০০০ টাকা রিটার্ন দাখিল করতে হবে। জিরো রিটার্ণ দাখিল করে থাকে তাকে ও ২০০০ টাকা কর গুণতে হবে । 

টিন বাতিল করতে প্রয়োজন কেন?

নতুন বাজেট ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যে সকল করদাতা রিটার্ণ দাখিলের আইনি বাধ্যকতা রয়েছে, তাদের আয়কর মুক্ত সীমার মধ্যে থাকলে ও নূন্যতম ২০০০ টাকা কর ধার্য করা হয়েছ। এছাড়া যারা ইতিমধ্যে জিরো রিটার্ণ দাখিল করেছেন । তাদের প্রতিবছর রিটার্ণ দাখিল করে যেতে হবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে জিরো রিটার্ণ বা শূণ্য রিটার্ণ দাখিল করলে ও ২০২৪ সালের জুলই মাস হতে ২০০০ টাকা কর পরিশোধ করতে হবে । ফলে অপ্রয়োজনে বা ভূলবশত কেউ টিন TIN খুললে ও এখন তা বাতিল করার প্রয়োজন হচ্ছে।

আয়কর আইন টিন সার্টিফিকেট TIN Certificate বাতিলের বিষয়ে কী বলে? অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর আয়কর আইন এর ৭৫(১বি) তে বলা হয়েছে যদি কোন আয়করদাতা বছরের বা তার পূর্বের বছরসহ পরপর তিন বছরের মধ্যে ব্যাক্তির কর যোগ্য আয় থাকে তবে তাকে রিটার্ণ জমা দিতে হবে ।

টিন বাতিলের নিয়ম: 

অনেকেরই কাজে লাগতে পারে টিন সার্টিফিকেট TIN Certificate। আপনি যদি বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার একটি ই-টিন সার্টিফিকেট করে নিতে হবে। আবার আপনি যদি বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে চান তাহলে অবশ্যই এই টিন সার্টিফিকেট TIN Certificate আপনার জন্য জরুরী তাই আমাদের পরামর্শ থাকবে অযথা না বিবেচনা করে টিন সার্টিফিকেট TIN Certificate বাতিল করবেন না। প্রত্যেকটি জিনিসের যেমন অসুবিধা রয়েছে তেমনি সুবিধা ও রয়েছে । আপনার যদি নিবন্ধনকৃত টিন সার্টিফিকেট TIN Certificate থেকে থাকে তাহলে আপনি প্রতি বছর কর দিতে বাধ্য। আপনি যদি পরপর তিন বছর কোন কর প্রদান না করেন  তাহলে আপনি সরকারের বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন বা অসুবিধায় পরতে পারেন।  যদি আপনি টিন সার্টিফিকেট TIN Certificate করে থাকেন তবে আপনাকে অবশ্যই কর রিটার্ণ দাখিল করতে হবে। 

টিন সার্টিফিকেট TIN Certificate অনলাইনে বাতিল করা যায় না । বাংলাদেশে ৩২ লাখ ব্যাক্তি আয়কর রিটার্ণ জমা দেন । তাদের মধ্যে ৮ লাখের বেশি আয়করের যোগ্য নেই । এই আট লাখ ব্যাক্তির উপর নূন্যতম ২০০০ টাকা কর ধার্য করা হলে ও সরকারের ১,৬০,০০,০০০ (একশত ষাট কোটি) টাকা রাজস্ব আয় হবে । যেহেতু আপনার আয় নেই আপনি শূণ্য রিটার্ণ জমা দিবেন । পরপর তিন বছর শূণ্য রিটার্ণ জমা দেয়ার পর চতূর্থ বছর আপনাকে আর আয়কর রিটার্ণ জমা দিতে হবে না । সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে চতূর্থ বছর পর আপনার ট্যাক্স সার্কেলের উপকর কমিশনারের নিকট টিন সার্টিফিকেট TIN Certificate বাতিলের জন্য আবেদন করতে পারবেন । 

টিন TIN বাতিলের জন্য আপনাকে প্রথমে একটি সারিতে তিন বছরের জন্য শূণ্য আয়কর রিটার্ণ দাখিল করতে হবে । তারপর আপনাকে টিন সার্টিফিকেট TIN Certificate নিষ্ক্রিয় করার উপযুক্ত কারণসহ ট্যাক্স সার্কেলের ডেপুটি ভ্যাট ট্যাক্স কমিশনারের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করতে হবে । পূর্বে আপনি যে আবেদন করেছিলেন রিটার্ণের রশিদ এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের একটি ফটোকপি জমা দিয়ে বাতিলের জন্য আবেদন করবেন ডেপুটি ট্যাক্স কমিশনার আপনার আবেদন যথাযথ মনে করলে আপনার টিন TIN বাতিল করবেন । আপনার টিন নিষ্ক্রিয় করার দুটি কারণ থাকতে পারে : (১) করদাতা মারা গেলে, (২) যদি কর যোগ্য আয় না থাকে । 

নতুন কর আইন ২০২৩ (খসড়া) অনুসারে টিন সার্টিফিকেট থাকলেই আয়কর রিটার্ণ নূন্যতম ২০০০ টাকা জমা দিতে হবে না দিলে জরিমানা ও শাস্তির আওতায় আনা হবে । 

৬টি শর্তে টিন বাতিল করতে পারবেন : 

১. করদাতা মারা গেলে 

২. যদি কর যোগ্য আয় না থাকে 

৩. নন রেসিডেন্ট বিদেশী নাগরিক যার বাংলাদেশে কোন স্থায়ী ভিত্তি নেই।

৪. বিশেষ কোন কারণে টিন সার্টিফিকেট গ্রহণ করে থাকলে ও বর্তমানে করযোগ্য কোন আয় না থাকলে ও  বাতিল করা যাবে ।

৫. ৬৫ বছরের উর্ধ্বে মহিলা ও পুরুষগণ. যদি তার করযোগ্য আয় না থাকে (পূর্বে করযোগ্য আয় ছিল বর্তমানে নেই) চাইলেই তারা টিন বাতিল করতে পারবেন ।

৬. অন্য কোন আইনুনাগ কারণে।

টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য আবেদন করার নমুনা :

বরাবর.

কমিশনার,

কর অঞ্চল, ২।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, মিরপুর, ঢাকা।

বিষয়: টিন বাতিল করার জন্য আবেদন ।

জনাব, 

যথাবিহীত সম্মানপূর্বক আবেদন এই যে. আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী জমি ক্রয়ের জন্য টিন সার্টিফিকেট TIN Certificate খুলে ছিলাম. গত তিন বছর আগে। আমি আমার একটি ডোবা জমি বিক্রি করে বসতবাড়ি করার জন্য আরেকটি জমি ক্রয় করে বাড়ি তৈরি করি । দীর্ঘদিন ধরে আমার আয় না থাকা শর্তে ও গত তিন বছর ধরে জিরো রিটার্ণ দাখিল করে আসছি (কপি সংযুক্ত)। বর্তমানে আমার করযোগ্য আয় না থাকায় আমি টিআইএন নম্বর ১৯৮৮৬৫৩৭৫০৭ বন্ধ করতে ইচ্ছুক ।

অতএব.আমার করযোগ্য আয় না থাকায় আমার টিন সার্টিফিকেট খানি বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আপনার সদয় মর্জি হয় । 

(কপি সংযুক্ত)

টিন সার্টিফিকেটের কপি,

পূর্ববর্তী আয়কর রিটার্ণের রশিদ/প্রত্যয়ণপত্র.

জাতীয় পরিচপত্রের ফটোকপি


তারিখ:

বিনীত নিবেদক,

সানোয়ার মোল্লা । 

মিরপুর, ঢাকা।

টিআইএন নম্বর, ১৯৮৮৬৫৩৭৫০৭

মোবাইল নম্বর:০১৭১০৫৪২৩২০।


টিন সার্টিফিকেট TIN Certificate ধারী কোন করদাতা মারা গেলে এবং ভবিষ্যতে উক্ত টিন সার্টিফিকেট কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ব্যবহার না করা হলে টিন রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করা যাবে । আর যদি করদাতার প্রতিষ্ঠিত কোন ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের জন্য টিন TIN সনদ ব্যবহার করা হয় সেক্ষেত্রে তার ওয়ারিশ প্রতিনিধি দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তি প্রতিবছর আয়কর রিটার্ণ দাখিল আয়কর পরিশোধ করবেন । মৃত ব্যক্তির টিন এর কোন প্রয়োজনিয়তা না থাকলে উত্তরাধিকারীরা উপকর কমিশনার বরাবর আবেদন করে টিআইএন TIN বাতিলে করতে পারেন । করযোগ্য আয় না থাকলে ও প্রতিবছর আয়কর রিটার্ণ জমা দেয়া একটি অতিরিক্ত কাজ । তাই অনেকেই টিন সার্টিফিকেট TIN Certificate বন্ধ করতে চায় । কিন্তু টিন সার্টিফিকেট TIN Certificate বন্ধ করার প্রয়োজন নেই । পরপর তিন বছর আয়কর জমা না দিলে রিটার্ণ দাখিল না করলে ও চতূর্থ বছরে টিন সার্টিফিকেট TIN Certificate বন্ধ  করার আবেদন করতে পারবেন । 

কর নিবন্ধন বাতিলে আগ্রহী করদাতাদের নিজ নিজ কর অঞ্চলে আবেদন করতে হবে । করদাতার কাছ থেকে টিআইএন বাতিলের আবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর কর্মকর্তা চারটি বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে টিআইএন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিবেন । ঐ চার বিষয় হলো এই করদাতার কাছে কোন বকেয়া দায় নেই, করদাতার বিরুদ্ধে কর নিয়ে কোন মামলা নিষ্পন্নাধীন নেই, যে কোন ফোরামে আয় সংক্রান্ত কোন বিরোধ নিষ্পন্নাধীন নেই এবং করদাতা আবেদনপত্রে যে কারণ দেখিয়েছেন তার সত্যতা আছে তবে নিবন্ধণ বাতিল করলে ও সব তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে । বর্তমানে ৮৭ লাখ টিআইএন ধারী থাকলে ও মাত্র তিন ভাগের এক ভাগ করদাতা নিয়মিত রিটার্ণ দাখিল করেন।

Previous Post
Next Post
Related Posts