জন্ম নিবন্ধন নিয়ে প্রশ্ন ও তার উত্তর বিধিমালা ২০১৮ এর ১৫ বিধি অনুযায়ী All questions about Birth registration and its answer as per act of 2018 law 15



 জন্ম নিবন্ধন নিয়ে প্রায়ই মানুষের জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন All questions about Birth registration

জন্ম নিবন্ধন নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও তার উত্তর All questions about Birth registration and its answer

জন্ম নিবন্ধন নিয়ে প্রশ্ন ও তার উত্তর বিধিমালা ২০১৮ এর ১৫ বিধি অনুযায়ী
 All questions about Birth registration and its answer  as per act of 2018 law 15

১.প্রশ্ন, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিয়ম আছে যে জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে কিংবা পরবর্তী সময়ে নিবন্ধন করতে অনেক সময় পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন পাওয়া যায়না করণীয় কি?


উত্তর, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪, জন্ম নিবন্ধন (Birth registration) সকলের জন্য বাধ্যতামূলক ধারা ৫/১- ৬/ক এবং ৮/১। আইনের এই নির্দেশনা কেউ না মানলে তিনি আইন লঙ্ঘনকারী হিসেবে গণ্য হবেন এবং অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।  তাছাড়া, এখন বিদ্যালয়ে ভর্তি, চাকরির নিয়োগ, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয় পত্র সহ ঊনিশটি ক্ষেত্রে জন্ম সনদ অবশ্য।  আবার জন্ম নিবন্ধন ব্যতীত কোন ব্যক্তির মৃত্যু নিবন্ধন করা যাবে না। মৃত্যুনিবন্ধন না হলে উত্তর অধিকার নিশ্চিত করা যাবেনা।


বিষয়টি এভাবে বুঝিয়ে বললে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধনে (Birth registration) আগ্রহী হবেন। সন্তানের জন্ম নিবন্ধন (Birth registration) এর সঙ্গে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন (Birth registration) অপেক্ষাকৃত সহজ। কারণ সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের জন্য যে তথ্যাদি/ রেকর্ড প্রয়োজন তার সঙ্গে পিতা-মাতার শুধু বয়স প্রমাণের রেকর্ড শিক্ষা সনদ আইনের ৭/১ ধারা অনুযায়ী তদন্তসহ এন আই ডি যোগ করলেই অতি সহজে তাদের জন্ম নিবন্ধন করা সম্ভব বিষয়টিকে সমস্যা হিসেবে না দেখে সুযোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে ।


তাছাড়া জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন এর শুদ্ধ ডাটাবেজ এর জন্য ফ্যামিলি ট্রি আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত একটি উত্তম চর্চা। বাংলাদেশ এটি গ্রহণ করেছেন। এই পদ্ধতিতে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন (Birth registration) এর সঙ্গে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর যুক্ত করে একটি পারিবারিক কাঠামো তৈরি করা হয়, যাতে পিতা-মাতার সন্তানের সংখ্যা এবং তাদের ক্রমিক নম্বর জানা যায়। এর মাধ্যমে উত্তর অধিকার নিশ্চিত হয় এবং অনৈতিক ভাবে কাজ অন্যান্য তথ্য পরিবর্তনের প্রবণতা রোধ করা সম্ভব হয়।  এই পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে পপুলেশন রেজিস্টার সহায়ক হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে নাগরিককে বিষয়টি ভালোভাবে বুঝিয়ে এবং প্রয়োজনীয় সহযোগীতা প্রদান করে নিবন্ধন করিয়ে নিতে হবে।


২. ম্যানুয়াল জন্ম নিবন্ধন, যেগুলি এখনো অনলাইনে করা হয়নি এগুলোর বিষয়ে করণীয় কি?


ম্যানুয়াল জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে অন্তর্ভুক্তির জন্য অনেকবার সময় দেওয়া হয়েছে।  অনলাইন বহির্ভূত এইসকল জন্ম নিবন্ধন এখন হুবহু একই জন্ম নিবন্ধন (Birth registration) নম্বর দিয়ে অনলাইনে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ নাই। যে লেখা হাতের লেখা জন্ম নিবন্ধন করা ছিল সে কাজলের রক্ষিত বইতে পাওয়া গেলে নিবন্ধক সরাসরি হাতে লেখা সনদের তথ্য দিয়েই অনলাইন নিবন্ধন করে দিবেন যদি ইতিপূর্বে অন্য কোথা ও জন্ম নিবন্ধন (Birth registration) করা হয়ে থাকে, তবে জন্ম নিবন্ধন (Birth registration) ফি পরিবর্তিত হবে। এতে অবশ্য সংশ্লিষ্ট নাগরিকের কোন ক্ষতি বা অসুবিধা হবে না।


৩. পূর্বের সফটওয়্যারে সংশোধিত তথ্য ৮৮ সফট্ওয়ারে পাওয়া না গেলে কি করতে হবে?


ইতিপূর্বে সংশোধিত কোন তথ্য ৮৮ সফট্ওয়ারে পাওয়া না গেলে এই সকল সংশোধনের একটি বিস্তারিত তালিকা নির্বাহি অফিসার/ ডি ডি এল জির  মাধ্যমে রেজিস্টার জেনারেল এর কার্যালয় প্রেরণ করা হলে তা হালনাগাদ করে দেওয়া হবে।


৪. পূর্বের যেসকল জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন শুধু বাংলায় আছে সেগুলো কিভাবে ইংরেজিতে করা হবে?


সফট্ওয়ারে কোন তথ্য সংযোজন বা বিয়োজনের সংশোধন হিসেবে গণ্য হবে।  নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রথমেই তা-ও ভাষায় করা প্রয়োজন ছিল। ইংরেজিতে না থাকায় তা এখন সংযোজন করতে গেলে তাও সংশোধন হিসেবে গণ্য হবে এবং তার জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা ২০১৮ এর ১৫ বিধি অনুযায়ী সংশোধন করতে হবে।


৫. যমজ সন্তানের জন্ম নিবন্ধন কিভাবে করা হবে?


যমজ সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের (Birth registration) ক্ষেত্রে প্রথমে একের পর এক আবেদন করে অনলাইনে সাবমিট করতে হবে তারপর যথাযথ নিয়মে নিবন্ধন করতে হবে। একটি নিবন্ধন সমাপ্ত করে ফেললে অপর আবেদন অনলাইনে সাবমিট করতে সমস্যা হবে।


৬. ১৭ ডিজিটের কম জন্ম নিবন্ধন কিভাবে ১৭  ডিজিটে উন্নতি করা যাবে?


১৭  ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন (Birth registration) নম্বর হলে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধকের কার্যালয় পুরাতন স্মৃতি জমা প্রদান করে ১৭ ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর সম্বলিত নেওয়া যাবে।  নিবন্ধন এর সকল স্তরের এক্ষেত্র নাগরিকের নিজস্ব মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করতে হবে।


৭. পূর্বে নিবন্ধন না হয়ে থাকলে বিবাহিত নারীর জন্ম নিবন্ধন স্বামীর বাড়ির ঠিকানায় করা এবং সনদে স্বামীর নাম লেখা যাবে কি?


পূর্বে জন্ম নিবন্ধন না হয়ে থাকলে আইনের ৪ ধারা অনুযায়ী বিবাহিত নারীর বিলম্বিত জন্ম নিবন্ধন স্বামীর স্থায়ী ঠিকানায় করা যাবে।  তিনি চাইলে তার জন্মস্থান এর ঠিকানা ও নিবন্ধন করতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধনের (Birth registration) ক্ষেত্রে পিতা ও মাতার নাম লিখতে হবে, স্বামীর নাম লেখার কোনো সুযোগ নাই।


৮. নিবন্ধনাধীন ব্যক্তি কে কি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় সনদ দিতে হবে?


হ্যাঁ বাধ্যতামূলকভাবে উভয় ভাষায় অনূদিত হবে। আবেদনপত্রটি গ্রহণের সময় জন্ম তথ্য সমূহ বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় আছে কিনা তা ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।


৯. জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন বা তথ্য সংশোধন সংক্রান্ত আবেদনের সময় নিবন্ধনাধীন ব্যক্তি বা তার পিতা-মাতা অভিভাবক ছাড়া অন্য কারো মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করা যাবে কি?


যেহেতু বিষয়টি ব্যক্তিগত তথ্য সাথে সংশ্লিষ্ট , সেহেতু এ ক্ষেত্রে নিবন্ধনাধীন ব্যক্তি বা তার পিতা-মাতা অভিভাবকের মোবাইল ফোন নম্বর দিতে হবে।  এর সঙ্গে এদের কারও ইমেইল এর নম্বর যদি থাকে দিলে তা আরো সুবিধাজনক হবে। এর সঙ্গে এদের কারও ইমেইল যদি থাকে তা দিতে হবে।  পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জল হতে পারে এমন ধারণা থেকে সফটওয়্যার একটি মোবাইল ফোন নম্বর পরিবারের সর্বোচ্চ পাঁচ জন সদস্য ব্যবহারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।  কোন ফোন নম্বর ৫ এর অধিক সংখ্যক নিবন্ধনের ব্যবহার করলে পরবর্তী সময়ে সেসকল নিবন্ধনের কোনো সন্ধান পাওয়া যাবেনা।


পরিবারের কোন মোবাইল ফোন না থাকলে বা সদস্য সংখ্যা মোবাইল ফোনে ধারণ ক্ষমতার বেশি হলে সে ক্ষেত্রে নিবন্ধনাধীন ব্যক্তি বা তার পিতা-মাতা অভিভাবকের সম্মতি তে তার কোন নিকটজনের ফোন নম্বর ব্যবহার করা যাবে।  এইরূপ ক্ষেত্রে কোনো অবস্থায়ই নিবন্ধন কার্যালয় কোন দাপ্তরিক বা কোন কর্মচারী ব্যক্তিগত ফোন নম্বর ব্যবহার করা যাবে না।


১০ . বিবাহ বিচ্ছেদ বা পিতা-মাতার একজন অপ্রাপ্য/ নিখোঁজ হলে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন কিভাবে হবে?


এইরূপ ক্ষেত্রে পিতা মাতা একজনের তথ্য দিয়ে অপরজনের শুধু নাম উল্লেখ ক্রমে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন (Birth registration) করা যাবে।


১১. পিতা-মাতার যেকোনো একজন বিদেশী হলে কিভাবে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করা হবে


মাতা অথবা পিতার যেকোনো একজন বিদেশী হলে যিনি বাংলাদেশি তার স্থায়ী ঠিকানার প্রয়োজনীয় দলিলাদি নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। তখন নিবন্ধক প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ক্রমে নিবন্ধন করে দিবেন।


১২. বিদেশে জন্ম নিবন্ধন করে দেশে ফেরত আসা কোন প্রবাসী জন্ম নিবন্ধন এর তথ্য সংশোধন অথবা জন্ম সনদ উন্নয়নের আবেদন করলে করণীয় কি?


যে নিবন্ধন অফিস এর জন্ম/ মৃত্যু নিবন্ধন করা হয়, কোন সংশোধনের প্রয়োজন হলে সে অফিস থেকেই তা করতে হবে। আইনত অন্য অফিস থেকে তা করার সুযোগ নাই। তবে স্থানীয় নিবন্ধন অফিস এর সহায়তা নিয়ে অথবা নাগরিক নিজে সরাসরি অনলাইনে মূল নিবন্ধন অফিস বরাবর উপযুক্ত দলিলাদিসহ সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আবেদনের অনুলিপি রেজিষ্ট্রার জেনারেল কার্যালয় ৮৮৮ ক্লোন করা হলে প্রয়োজনীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তা নিষ্পত্তি  ব্যবস্থা করা হবে।


ভবিষ্যতে জন্ম নিবন্ধন সনদ কোন করণিক ভুল সংশোধন অথবা ইংরেজি বাংলায় প্রতিলিপির প্রয়োজন হলে তা যেকোনো নিবন্ধন অফিস থেকে যাতে প্রদান করা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


১৩. জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন এর ফি বাবদ প্রাপ্ত অর্থ চালানের মাধ্যমে জমা সংক্রান্ত তথ্য ৮৮৮ এ প্রবেশ করাতে গেলে অনেক সময় ফাইল আপলোড করা যায় না বা নানারকম সমস্যা দেখা দেয় সমাধান কি?


জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা ২০১৮  বিধি২১/৬ অনুযায়ী প্রতি মাসে আদায়কৃত অর্থ পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে সরকারি তহবিলের জমা প্রদান বাধ্যতামূলক।


এ চালান সংক্রান্ত তথ্য আপলোড করতে না পারা দুটি কারণ থাকতে পারে 


ক.চালানোর তথ্য সঙ্গে সংযুক্ত ফাইল এর পরিমাণ ১০২৪ কিলোবাইট এর বেশি হওয়া।  প্রতিটি ফাইল এর পরিমাণ সর্বোচ্চ ১০২৪  কিলোবাইট পায়ের নিচে হতে হবে।


খ. চালান এর টাকার পরিমান ব্যালেন্সের পরিমাণ এর চেয়ে বেশি হওয়া চালানোর টাকার পরিমাণ সর্বোচ্চ ব্যালেন্সের সমান অথবা এরকম হতে হবে।


এখানে উল্লেখ্য যে বদলি বা অন্য কোনো কারণে অথরাইজ ইউজারকে রিলিজ করতে হলে বিধি ২১/১  অনুযায়ী আদায় কৃত সমুদয় টাকা চালানের মাধ্যমে জমা দিয়ে ব্যালেন্স ০ করে তারপর জেলা/ জেলা-উপজেলা এডমিনের মাধ্যমে তাকে রিলিজ করা যাবে।


১৪. অনেক সময় জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করলে আরো এক বা একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে পসিবল ডুবলিকেট দেখায়। এটি একই নিবন্ধন অফিস, উপজেলা বা জেলার আওতাধীন এলাকার মধ্যে যেমন হয়, তেমনি জেলা সীমানা ছাড়িয়ে অন্য জেলা, বিভাগ এমনকি বিদেশ থেকেও এমনটি দেখা যায়। আমরা কিভাবে বিষয়টি সমাধান করতে পারি।


পসিবল ডুবলিকেট দেখানোর কারণ

জন্ম নিবন্ধনের আবেদন পত্র দাখিল করার পর কোন আবেদনকারী ব্যক্তির নাম, পিতার নাম এবং মাতার নাম জন্ম নিবন্ধন (Birth registration) ডাটাবেজে সংরক্ষিত কোন নিবন্ধন ব্যক্তির সঙ্গে হুবহু মিলে গেলে সফটওয়্যার সংক্রিয়ভাবে সম্ভাব্য সদৃশ্য বা পসিবল ডুবলিকেট স্ট্যাটাস দেখায়।


নিম্নে বর্ণিত ৫টি  নির্ণায়ক বা প্যারাসিটামল মিলে গেলে পসিবল ডুবলিকেট ১০০% ডুবলিকেট হিসেবে প্রতীয়মান হয়


 আবেদনকারী ব্যক্তির নাম

 পিতার নাম

 মাতার নাম

 নিবন্ধন কার্যালয় এর নাম

 এবং জন্মতারিখ


 উল্লেখ্য যে পসিবল ডুবলিকেট হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তি গনের জন্মতারিখের ব্যবধান ৮ থেকে ১০ বছর বা তার বেশি হলে তার স্থায়ী ঠিকানা না মিললে সেই ক্ষেত্রে ডুবলিকেট হওয়ার সম্ভাবনা সাধারণত ০% হয়ে যায়।


পসিবল ডুবলিকেট টি একই জেলায় হলে অথরাইজড ইউজার ভাগ ক্ষেত্রে বিশেষ উপজেলা নির্বাহি অফিসার বা উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান বা তদন্ত সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন অফিস এর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন।


একই জেলায় না হলে প্রথমে প্রশাসনিকভাবে বিভিন্ন জেলার সাথে যোগাযোগ করে অনুসন্ধান বা তদন্ত করতে হবে। এতে ডুবলিকেট হওয়ার অনুকূলে কোন তথ্য পাওয়া না গেলে আবেদনকারীকে ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কাছে থেকে উন্নত তার জন্ম নিবন্ধন করা হয়নি মর্মে লিখিত নিয়ে আবেদনটি মঞ্জুর করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে।


এখানে উল্লেখ্য যে, আবেদন বা মঞ্জু যাইহোক এর লক ৮৮৮ স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত থাকবে।


১৫. কোন কোন ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন দিয়ে অনুসন্ধান করা হলে সফট্ওয়ারে একই নম্বরে একাধিক ব্যক্তিকে দেখায় ।  এক্ষেত্রে করণীয় কি?


অনলাইন জন্ম নিবন্ধন এর শুরুতে অসাবধানতা বা অন্যান্য কারণে কোন কোন ক্ষেত্রে একই নম্বর একাধিক ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। এরূপ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলের নিবন্ধন অফিসে এনে সম্মিলিত ভিত্তিতে ওই নম্বরটি জনকে বরাদ্দ প্রদান করে অপরজনকে একটি নতুন নম্বর দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা যেতে পারে।  সমঝোতা না হলে যার নিবন্ধন আগে হয়েছে তার জন্য এই নম্বরটি রেখে অপরজনকে নতুন নম্বর বরাদ্দ ৮৮৮  করতে হবে।  এই অপশনটি ৮৮৮  এর জন্ম তথ্য জন্ম নিবন্ধন করুন অপশনে গেলে পাওয়া যাবে সফটওয়্যার এই অপশনটি শুধু ইউজার পারবেন।


অপর ব্যক্তিকে হাজির করা না গেলে উপস্থিত ব্যক্তি সমাপ্ত হলে তাকে একটি নতুন নম্বর প্রদান করা যেতে পারে। তদন্ত/ অনুসন্ধানে অপর ব্যক্তিত্বশূন্য প্রমাণিত হলে সেই নিবন্ধনটি বাতিল করা হবে।


জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু নিবন্ধন এর ব্যাপারে এখানে যে লেখাগুলো আছে সম্পূর্ণ লেখাগুলো সরকারি লেখা আপনারা নিশ্চিতভাবে জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু নিবন্ধন এর এই লেখাগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারেন, দেখতে পারেন এভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। এই লেখাগুলো সরকার এর নির্দেশনা অনুযায়ী লেখা।



Previous Post
Next Post
Related Posts