সোমালিয়ান জলদস্যুদের নিয়ে যত ছবি AS many pictures about Somali pirates



সোমালিয়ান জলদস্যুদের নিয়ে যত ছবি

AS many pictures about Somali pirates

  • সোমালিয়ার জন্ম কত সালে = ১৯৬০ সালে
  • সোমালিয়ান জলদস্যুরা আক্রমণ শুরু করে২০০৫ সালের পর থেকে

ইতালির উপনিবেশ থেকে বেরিয়ে সোমালিয়ার জন্ম ১৯৬০ সালে। কিন্তু আজ সোমালিয়ার দেশটির নাম শুনলেই সবার চোখে ভাসে জলদস্যুদের কথা। বিদেশি মাছ ধরা নৌযানের উপস্থিতি বাড়তে থাকলে স্থানীয় জেলেরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে দস্যুবৃত্তির দিকে ঝুঁকে। ২০০৫ সালের পর থেকে সোমালিয়ান জলদস্যুরা আক্রমণ শুরু করে। ১২ই মার্চ ২০২৪ সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। সোমালিয়ান জলদস্যুদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে বেশ কিছু সিনেমা। বেশির ভাগ তথ্য সত্য ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে। অনেক আগে থেকে দস্যুদের এ রকম আক্রমণের রহস্যময় তথ্য প্রকাশ হয়েছে পূর্বের বিভিন্ন সিনেমাতে। কয়েকটি সিনেমার মূল গল্প পড়ুন।

আ হাইজ্যাকিং

  • ডেনমার্কের একটি কার্গো জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটি মুক্তি পায় = ২০১২ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর
  • ডেনমার্কের একটি কার্গো জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটির নামড্যানিশ

ডেনমার্কের একটি কার্গো জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ড্যানিশ সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০১২ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর। এতে কার্গো জাহাজের মালিক ও জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনাকে নাটকীয়ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ড্যানিশ নির্মাতা টোবায়াস লিন্ডহোম পরিচালিত সিনেমাটির ৬৯-তম ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয়েছে। 

স্টোলেন সিস

  • ড্যানিশ জাহাজ এমভি সিএসি ফিউচার ছিনতাই হয় = ২০০৮ সালের ৭ই নভেম্বর
  • সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন = যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা থিমায়া পেইন  

২০০৮ সালের ৭ই নভেম্বর ড্যানিশ জাহাজ এমভি সিএসি ফিউচার ছিনতাইয়ের ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোচিত  হয়েছিল। এ সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত প্রামাণ্য চিত্রটি ২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছে। জিম্মি অবস্থায় জাহাজের ভিতরে থাকা নাবিকদের দূর্দশাকে ক্যামেরায় তুলে আনা হয়েছে। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা থিমায়া পেইন। 

দ্যা পাইরেটস অব সোমালিয়া

এ সিনেমাটি ২০১৭ সালে নির্মিত। ব্রায়ান বাকলি ও জয় বাহাদুরের রচনায় ছবিটি নির্মাণ করেন ব্রায়ান বাকলি। এটি একটি বায়োগ্রাফি ও ড্রামানির্ভর সিনেমা যেটিতে অভিনয় করেন জনপ্রিয় অভিনেতা আল পাচিনো, ইভান পিটার্স, মেলেনি গ্রিফিত, বারখাদ আবদি, কোরাল পেনা, ফিলিপ ইট্রিনগার, রবার্ট হোপস প্রমুখ। ২০০৮ সালে দূর্ধর্ষ সাংবাদিক জয় বাহাদুর সোমালিয়ার জলদস্যুদের মধ্যে নিজেকে যুক্ত করার জন্য একটি অর্ধ-বেক পরিকল্পনা তৈরি করেন। তিনি শেষ পর্যন্ত তারা কারা, তারা কীভাবে বসবাস করেন এবং যে শক্তিগুলো তাদের চালিত করে সে সম্পর্কে প্রথম ক্লোজআপ ‍লুক প্রদান করতে সফল হন। বারখাদ আবদি, যিনি সোমালিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন, ক্যাপ্টেন ফিলিপসে তার ব্রেক আউট ভূমিকা ছিল। সোমালিয়ান জলদস্যুদের নিয়ে একটি সিনেমা। বারখাদ আবদি সেই মুভিতে প্রধান জলদস্যুদের একজনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। যেটি একটি ঘটনার বর্ণণা করেছে, দ্যা পাইরেট অব সোমালিয়া ছবিটিতে।

ফিশিং উইদাউট নেটস

  • জলদস্যুদের জীবনকে পর্দায় তুলে এনেছেন = যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা কাটলার হডিয়র্ন
  • চলচ্চিত্র উৎসবে ‘গ্রান্ড জুরি অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে২০১২ সালে

জলদস্যুদের জীবনকে পর্দায় তুলে এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা কাটলার হডিয়র্ন। সোমালিয়ার জেলেদের কীভাবে জলদস্যুতায় বাধ্য করা হয়, সেই গল্প তুলে আনা হয়েছে। ২০১৪ সালে মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটি ২০১২ সালে সানডেন্স চলচ্চিত্র উৎসবে ‘গ্রান্ড জুরি অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে।  

লুটেরে

খ্যাতিমান নির্মাতা হংসল মেহতা। ‘স্ক্যাম ১৯৯২’ নির্মান করে রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। আবারও নতুন কাজ নিয়ে আসছেন তিনি যেখানে জুড়ে রয়েছে তার নাম। লুটেরে ছবি। যদিও লুটেরে ছবিটি নির্মাণ করেছন তার পুত্র জয় মেহতা। মার্চের ৬ তারিখে প্রথম ট্রেলার প্রকাশিত হয় ডিজনিপ্লাস হটস্টারের ইউটিউব চ্যানেলে। ২ মিনিট ১১ সেকেন্ডের সেই ট্রেলারটিতে মূলত ফুটে উঠেছে সোমালিয়ান জলদস্যুদের তান্ডব! সাগরপথে জাহাজে সোমালিয়ান জলদস্যুদের আক্রমণই এ সিরিজটির উপজীব্য। ভারত থেকে মাল বোঝাই একটি জাহাজ রওয়ানা দেয় ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে। সেই যাত্রাপথেই সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জাহাজটি অপহরণ হয়। এর পরই শুরু হয় মূল গল্প। মূলত জাহাজটি অপহরণের পর নাবিকদের স্ট্রাগল ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির অন্ধকার দিক উঠে এসেছে ট্রেলারে। লুটেরে ছবিটি ডিজনি হটস্টারের নতুন এ সিরিজটি নির্মান হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রিটেন ও ভারতের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে।

দ্যা প্রজেক্ট

প্রামাণ্য চিত্রটি নির্মান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক এ্যাডাম চারলস্কি। সোমালিয়ার জলদস্যুতা শিপিং বিশ্বকে কতটা হুমকির মুখে ফেলেছে, এটিকে মোকাবেলা করতে কি করা যায় এসব নিয়ে নির্মিত হয়েছে দ্যা প্রজেক্ট। ২০১৩ সালের ২১শে এপ্রিল মুক্তিপ্রাপ্ত প্রামাণ্যচিত্রটি বিশ্বের বিভিন্ন উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে।

ক্যাপ্টেন ফিলিপস

২০০৯ সালের ৭ই এপ্রিল ড্যানিশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কার্গো জাহাজ মারস্ক অ্যালবাবা ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ান জলদস্যুরা। জাহাজটির ক্যাপ্টেন ছিলেন রিচার্ড ফিলিপস ও বিলি রে। জিম্মি অবস্থায় দূর্বিসহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন রিচার্ড ফিলিপস। সেই ঘটনার অবলম্বনে ক্যাপ্টেন ফিলিপস সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে ২০১৩ সালের অক্টোবরে। সিনেমায় ফিলিপস চরিত্রে অভিনয় করেছেন হলিউড তারকা টম হ্যাঙ্কস। পল গ্রিনগ্রাস পরিচালিত সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন রিচার্ড ফিলিপস ও বিলি রে। জিম্মিদশা থেকে ফিরে আসা ক্যাপ্টেন ডিউটি মে একটি বই লিখেন ফিলিপস। সেই বই থেকেই সিনেমার চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।




Previous Post
Next Post
Related Posts